ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী মামলার আসামি মহিউদ্দিন শাকিল মাদ্রাসার গেট পাহারার দায়িত্বে ছিলেন বলে পিবিআই জানিয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআইর পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, ঘটনার দিন মাদ্রাসার গেট পাহারায় থাকা মহিউদ্দিন শাকিলকে গতকাল শুক্রবার বিকালে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দ্রæব জ্যোতি পালের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার মুন্সী পুকুরপাড় থেকে তাকে আটক করে পিবিআই। শাকিল সোনাগাজী উপজেলার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, ‘রিমান্ডে থাকা আসামি ও ১৬৪ ধারায় দেওয়া কয়েকজন আসামির জবানবন্দি অনুযায়ী, ঘটনার দিন মাদ্রাসার গেট পাহারায় ছিলেন মহিউদ্দিন শাকিল। ঘটনার পর থেকে শাকিল পলাতক ছিলেন। তাকে আটকের জন্য পিবিআই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে’। খবর বিডিনিউজের
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত ছিলেন ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী। গত ৬ এপ্রিল আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের পরিবারের দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন তার গায়ে আগুন দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনায় মামলায় অধ্যক্ষ ও মাদ্রাসা কমিটির সদস্যসহ আটজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ মামলায় এজহারভুক্ত আটজনসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে চারজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর ১৩ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছেন।
এছাড়া গতকাল শুক্রবার সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পিবিআই। তবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না তা তারা এখনও নিশ্চিত করেনি।