নুসরাতের গোপন বিয়ে সাঙ্গ হলো টাকায়

138

অনেক দিনই ডুবে ডুবে জল খেয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তাতে জল অনেক ঘোলা হয়েছে। গোপনে বিয়ে করা ভিক্টর ঘোষের সঙ্গে তার সম্পর্ক বহুদিন থেকে ভালো ছিল না। ভিক্টরের অভিযোগ নুসরাতের বিরুদ্ধে পরকীয়ার। তাদের দাম্পত্যকালে এক প্রযোজক ও এক শাড়ি ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় নুসরাতের। এই গোপন বিয়ে এবং দাম্পত্য কলহের কথা কোনো দিন স্বীকার করেননি নুসরাত। এমনকি স্বামী ভিক্টরকে তিনি বরাবর কেবল বন্ধু হিসেবে চালিয়ে গেছেন। সাংবাদিকরা একটু গভীরে গিয়ে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কিছুই আর গোপন রাখতে পারলেন না নায়িকা। ভিক্টরের সঙ্গে তার সম্পর্কের তিক্ততা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আর তাতেই বেরিয়ে থলের বিড়াল।
ইতোমধ্যে তাদের বিবাহবিচ্ছেদও হয়ে গেছে। ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আইনিভাবে ডিভোর্স হয়েছে নুসরাত ও ভিক্টরের।
বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে বিশেষ নজির দেখিয়েছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় এ মুসলিম অভিনেত্রী। ভিক্টরকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে ডিভোর্স নিতে হয়েছে তাকে। সাধারণত স্ত্রীকে দেনমোহর এবং বিভিন্ন খরপোষের টাকা দিয়ে তালাক সম্পন্ন হয়। কিন্তু ডিভোর্স পেতে অভিনেত্রী নুসরাত উল্টো তার স্বামীকেই টাকা দিয়েছেন। ডিভোর্সের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হলে ভিক্টর নুসরাতের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন।
সনাতন ধর্মের একজনকে বিয়ে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনিতেই বহুবার সমালোচিত হয়েছেন মুসলিম নায়িকা। এখন বিবাহবিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে সমালোচিত হচ্ছেন। তবে কোনো সমালোচনাই কানে তুলছেন না নুসরাত। তার কথা, ‘যারা আমার ডিভোর্স নিয়ে কথা বলছেন, তারা কি আমার বিয়ের দাওয়াত খেতে এসেছিলেন। আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ইদানীং অনেক গুজব রটছে। কিন্তু এতে আমার বা আমার পরিবারের কিছু আসে-যায় না। এসব গুজব আমরা পাত্তাও দেই না।’