নুরুল মোমেন

8

নুরুল মোমেন, একজন বাংলাদেশী অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও নির্দেশক, রম্য সাহিত্যিক, পথিকৃৎ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, অনুবাদক, কবি এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় -এর আইন অনুষদের ডীন এবং অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আধুনিক বাংলা নাটকে অগ্রণী ভুমিকার জন্য তাকে ‘নাট্যগুরু’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়। নুরুল মোমেন নভেম্বর ২৫, ১৯০৬ সালে তৎকালীন যশোর জেলা বর্তমান ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নুরুল আরেফিন ছিলেন একজন জমিদার ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। তিনি কলকাতায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে ১৯১৬ সালে খুলনা জিলা স্কুলে ভর্তি হন। দশ বছর বয়সে তার প্রথম পদ্য “সন্ধ্যা” ১৯১৯ সালে সেসময়কার ‘ধ্রæবতারা’ নামক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯২০ সালে তিনি ঢাকা মুসলিম হাই স্কুল-এ ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই ১৯২৪ সালে ম্যাট্রিক, ‘ঢাকা ইন্টারমেডিয়েট কলেজ” থেকে ১৯২৬ সালে আইএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৯ সালে বিএ পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রথম বছরেই (১৯২৭) তিনি ক্রীড়া ও নাট্য প্রতিযোগীতায় প্রথম হন। রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারায়’ বটু চরিত্রায়ন করে তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। সেটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম নাট্য প্রতিযোগিতা এবং নুরুল মোমেন তখন থেকেই পূর্ব বাংলার নাটকে পথিকৃৎ ভূমিকা রাখেন। এর পরের ৩ বছর তিনি কার্জন হলে বহু নাটক পরিচালনা ও অভিনয় করেন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএল ডিগ্রি লাভ করে ১৯৩৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। ১৯৩৯ সালে ঢাকায় ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ প্রতিষ্ঠা হলে, মোমেন নতুন এই মাধ্যমের সুযোগ গ্রহণ করেন এবং তার প্রথম লেখক হয়ে ওঠেন। ১৯৪১ রেডিওর জন্য রচনা ও নির্দেশনা দেন কমেডি নাটক ‘রুপান্তর’। এই নাটকের প্রগতিশীল প্লট এবং প্রধান চরিত্র নারী হওয়ার কারণে প্রথাগত মুসলিম বাংলা নাটকের মধ্যে নতুন ধারার উন্মেষ ঘটে যার ফলশ্রæতিতে কবি ও সাহিত্য সমালোচক মোহিতলাল মজুমদার তার প্রশংসা করেন এবং পরবর্তিতে আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের পূজা সংখ্যায় নাটকটি প্রকাশ করেছিল। গুণী নাট্যকার ও নির্দেশক ১৬ ফেব্রæয়ারি ১৯৯০ইং মৃত্যু বরণ করেন। সূত্র : উইকিপিডিয়া