নীলকুঠি

31

 

আমি দেখেছি মরুদ্যান যৌবন সভা আলয় অভিলাষ
নক্ষত্রের মত প্রাণ পুরুষ! শুনেছি বকপক্ষী ছায়ে ছায়ে, নায়ে
জ্বলছে কুপি জ্বলবে নিরব, ত্রাহী ত্রাহী দ্রোহে নীলকুঠি
মোহে, দোহায় দোহে দাহকাল লুলোপ জুটি, লুটোপুটি

আকাশ পাড়ায় নিলাঞ্জনা একখানা কাব্য গাঁথা, ওপারে
বাউলিয়ানা আমার জীর্ণ কুঠিরে হাহাকারে, পারাপারে
গায়েবানা মহামারী শিকলপরা পালাগানবাজ, লাজ
থেমে নেই নিরুর বাঁশি আমাজান, দারাজ বিহঙ্গরাজ

মনে হয় শহুরে অট্টালিকা অযাচিত ভাবের বন্ধু আমি নই
পানকৌড়ি ফণার নিচে ডিাবার জলছাপে ডাহুক আমি
মৃদু হাসি, গালে একটি তিলক ঠোঁট, শুধু নিরাশ আশা
পড়ন্ত সবুজ আলে যখন ঢেউ লাগে পায়ে পায়ে দুর্বাচাষা

ঈগলের চোখ সফেদ উর্দী অজুখানার মসজিদ ভিটে
সব মনে রাখা না রাখার দলে, দিন শেষের ইচ্ছেটে
হাটখোলার আপাদ-মস্তক উচ্ছন্ন মানবিক, নিরঙ্কুশ ধান্দা
এখনো পরাও বন্ধু পিরামিডে শূন্য কফিনের বাসিন্দা

নীলকুঠি বন্ধুর সমদুর নিরুদ্দেশে রাগ রুদ্দোর মাস্তুলে
ধুমকেতুর মত রাঙা সম্মোহন লাল বিকেল পাল খোলে
স¤প্রদায়? খুনি বৈঠা ও নিষ্প্রাণ দেহখান ছেঁড়া পাঞ্জাবি
নিমগ্ন কোরাস আল্লাহু বিষন্ন প্রাণের দৃড়রেখা মাসনাবী।