রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার
বড় পরিসরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের অনুমিত না থাকলেও পর্যটকে ভরে গেছে কক্সবাজার। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বরাবরের মতো সৈকত পাড়ে ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার পর্যটক। করোনা মহামারির পর ইংরেজি নববর্ষ বরণ ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে পর্যটকদের এই উন্মাদনা। বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলে ফাঁকা কক্ষ নেই। তবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, সৈকতের উন্মুক্ত মঞ্চে কোনো ওপেন এয়ার কনসার্ট বা সাংস্কৃতিক আয়োজন না থাকায় এবার তুলনামূলক পর্যটক সমাগম কম। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা মহামারির আগে প্রতিবছর থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে কম করে হলেও লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। কিন্তু এ বছর কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন না থাকায় বিশেষ করে সৈকতে উন্মুক্ত মঞ্চে কোনো আয়োজন না থাকায় এবার উপচেপড়া ভিড় নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাইরে বড় কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও ঘরোয়া পরিসরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হবে তারকা মানের হোটেলগুলোতে। বিশেষ করে তারকামানের হোটেল ওশ্যান প্যারাডাইস, কক্স টুডে, সায়মন বিচ ও লং বিচেও নানা জমকালো আয়োজন থাকবে। এছাড়া মাঝারি, ছোট অনেক হোটেলেও থাকবে ইনডোরে নানা আয়োজন। কক্সবাজারের কলাতলীর আলম গেস্ট হাউসের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটিতে পর্যটক সমাগম বেশ ভালো ছিল। সে তুলনায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে কম। তবে সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী পয়েন্টে পর্যটকের ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই পর্যটক সমাগম যে কম।
ইনানীর তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের এজিএম নাভেদ চৌধুরী বলেন, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের হোটেল শতভাগ অগ্রিম বুকিং রয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট ও নতুন বছর বরণে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। দুইজন তারকা শিল্পী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সব পর্যটকদের দৃষ্টি থাকে কক্সবাজারে। কারণ সৈকতে শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ এবং বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রোমাঞ্চকর অনুভূতি কক্সবাজার থেকে পাওয়া যায়।
কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বাস্তবতায় কক্সবাজারে কিন্তু পর্যটকদের নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই। তবে বিনোদনের সুযোগ কম। আর বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে বিশেষ আয়োজন থাকলে পর্যটকরা উৎসাহিত হয়। এতে পর্যটক সমাগমও বাড়ে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, এখানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই। পর্যটকরা যেন নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সমুদ্র সৈকতে অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। কোনো পর্যটক হয়রানির শিকার হলে সহজে অভিযোগ জানাতে পারে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈকতে দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে।