নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে থাকতে হবে আপসহীন

75

শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, জাহানারা ইমাম যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে যে গণআন্দোলন শুরু করেছিলেন, তার ফসল যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার কার্যক্রম। আমাদের ভুলে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধকে শহীদ জননী পুনরুজ্জীবিত এবং আমাদের চেতনাকে শাণিত করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পুনর্জন্ম লাভ করে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যাপিত জীবনে লালন করতে হবে। এ চেতনার প্রশ্নে আপসহীন থাকতে হবে। তবেই শহীদ জননীর আন্দোলন সার্থকতা পাবে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনোপলক্ষে গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে ২৮জন মুক্তিযোদ্ধাকে ‘শহীদজননী জাহানারা ইমাম সম্মাননা স্মারক’ প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান। প্রধানবক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।
অনুষ্ঠানে মেয়র ২৮ মুক্তিযোদ্ধাকে ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সম্মাননা স্মারক’ প্রদান করেন। সম্মাননা গ্রহণ করেন (মরণোত্তর) মুক্তিযোদ্ধা রহমত উল্ল্যাহ চৌধুরীর সন্তান সুমন চৌধুরী, ডা. এমএ মান্নানের সন্তান পারভেজ মান্নান, কাজী ইনামুল হক দানুর সন্তান কাজী রাজিশ ইমরান, ইউনুস খানের সন্তান সরোয়ার খান, মঈনুদ্দিন খান বাদলের ভাই অ্যাডভোকেট সেলিম চৌধুরী, ইদরিস আলমের সন্তান ইফতেখারুল আলম, নূর আহম্মেদের সহধর্মিনী সামশুন নাহার, একে ফজলুল হকের সন্তান শওকত আল আমিন, শওকত হাফিজ খান রুশ্নির সহযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা কবি সাথী দাশ। এছাড়া (জীবিতদের মধ্যে) মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেহ, আমিনুর রহমান, সৌরীন্দ্রনাথ সেনের ভাই স্বপন সেন, অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, জামাল আহমেদ ফকির, মো. মইনুদ্দিন, হোসেন মাস্টার, আবদুল মালেক খান, গুরুপদ চন্দ্র, আব্দুল আউয়াল ভূইয়া।
নির্মূল কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর রেখা আলম চৌধুরী, সহ-সভাপতি দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, হেলাল উদ্দিন, সম্পাদকমÐলীর সদস্য হাবিব উল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, জাবেদুল আলম সুমন, আবদুল মান্নান শিমুল, নাজমুল আলম, ফারুক চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, মিথুন মল্লিক, রুবা আহসান, সূচিত্রা গুহ টুম্পা প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, আসাদুজ্জামান খান, জুলকারনাইন সুমন, নিজাম উদ্দিন সুলতান, আবু সাদাত মো. সায়েম, আসাদুজ্জামান জেবিন, সাহাব উদ্দিন, অসিত বরণ, আলাউদ্দিন বাবু, সনেট চক্রবর্ত্তী, রুবেল চৌধুরী, শাহাদাত নবী, কামাল উদ্দীন, ড. মোজাহেরুল আলম, ওয়াহেদ রাসেল প্রমুখ। চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, মুক্তিযুদ্ধ একটি অবিরাম প্রক্রিয়া। গণমানুষের সার্বিক মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলবে। শওকত বাঙালি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতির দুঃসময়ে ব্যানারবাজির রাজনীতি পরিহার করে সত্যিকার অর্থে জনগণের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে রাজপথে অবস্থান নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি