নির্বিষ বোলিংয়ে দ্বিতীয় দিন হতাশার

6

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

পুরো দিনে খেলা হলো ৮৬.৪ ওভার। উইকেট পড়লো মোট ৬টি। সবগুলোই বাংলাদেশের। ৩৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ ওভার উইকেটে কাটালেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। বাংলাদেশের বোলারদের একরাশ হতাশা উপহার দিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করলো পাকিস্তান। পাকিস্তানের অভিষিক্ত ব্যাটার আবদুল্লাহ শফিকই যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশের বোলারদের বলে কোনো ধার নেই। নখ-দন্তহীন বাঘ। আবদুল্লাহ শফিকের চেয়ে অবশ্য মারমুখি ছিলেন আবিদ আলি।
দুই ওপেনারের ব্যাটে বিনা উইকেটে ১৪৫ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের চেয়ে আর কেবল ১৮৫ রান পিছিয়ে সফরকারীরা। ৯৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আবিদ আলি এবং ৫২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আবদুল্লাহ শফিক।
প্রথম দিন দুই সেশন কোনো উইকেট না হারিয়েই কাটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের দুই ব্যাটার লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।সেঞ্চুরিয়ান লিটন দ্রুত আউট হয়ে যান। মুশফিক আবারও নার্ভাস নাইনটিজের শিকার। ৯১ রান করে ফিরে যান তিনি।
মেহেদী হাসান মিরাজই কেবল লড়াই করতে পেরেছেন গতকালকের সকালটায়। ৬৮ বল মোকাবেলা করে তিনি সংগ্রহ করেন ৩৮ রান। তাইজুল ১১ এবং আবু জায়েদ রাহী আউট হন ৮ রান করে। সব মিলিয়ে ৩৩০ রানে অলআউট হলো বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে দুই পাকিস্তানি ওপেনার যেন মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন উইকেটে। ২.৫৪ রান রেটে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করেছেন তারা। ৯৩ রান করতে আবিদ আলি খেলেছেন ১৮০ বল। আর ৫২ রান করতে আবদুল্লাহ শফিক খেলেছেন ১৬২ বল।
আবু জায়েদ রাহী ১০ ওভারে দিয়েছেন ৩০ রান, এবাদত হোসেন করেছেন ১২ ওভার। দিয়েছেন ৩১ রান। তাইজুল ইসলাম করেছেন ১৯ ওভার। রান দিয়েছেন ৩৯টি। মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন ১৩ ওভার। রান দিলেন ৩৩টি এবং অধিনায়ক মুমিনুল হক করেছেন ৩ ওভার। রান দিলেন ১২টি। উইকেটের খাতা স্বাভাবিকভাবেই সবারই শূন্য।