নির্বাচন শেষে সাংগঠনিক পরিকল্পনায় নগর আ.লীগ

50

সদস্য সংগ্রহ অভিযান, ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে মাঝখানে সক্রিয় হয়েছিল নগর আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলে আসায় সংগঠনের নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরেও নির্বাচনী কর্মকান্ডে বেশি সক্রিয় ছিল নেতাকর্মীরা। নির্বাচনী আমেজে ডুবে থাকা নেতাকর্মীরা স্ব স্ব এলাকার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের জয়ী করতে ভূমিকা রাখেন। নির্বাচন শেষে এবার সংগঠনের কর্মকান্ডে ঝুঁকতে যাচ্ছে নগর আওয়ামী লীগ। গতকাল নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। এজন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছেন সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, নগরীর প্রত্যেকটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানায় নিয়মিত কমিটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও এক নেতা সরকারের উন্নয়ন তদারকি ও প্রচারণায় আসনওয়ারী কমিটি করার কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আজ সন্ধ্যায় দেখা করার কথা রয়েছে উপদেষ্টা ও সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যদের। আগামী ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে চট্টগ্রাম থেকে ব্যাপক নেতাকর্মী জমায়েতের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি লালদিঘি মাঠে আয়োজন করা মন্ত্রিদের সংবর্ধনা সভায় নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মিদের উপস্থিতি বাড়ানোর কথাও আলোচনা হয় সভায়।
বর্ধিত সভায় নগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, নগরের উন্নয়নে সরকারের সাথে দলীয় পক্ষ থেকে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। সাংসদরা এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য সচেষ্ট একথা যেমন সত্য, তেমনি এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মিদের সাথে সাংসদদের সমন্বয়ের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, দলীয়ভাবে গাইড লাইন থাকলে সেক্ষেত্রে সাংসদরা উন্নয়নে আরো গতিশীল ভূমিকা রাখতে পারবেন। সরকারের উন্নয়ন তদারকি ও প্রচারণার জন্য প্রতিটি আসনে কমিটি করলে ভালো হবে।
সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মিরা আমাদের প্রার্থীদের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন। নেতাকর্মিদের এই শ্রমের ফসল আজকের সাংসদরা। লালদিঘি ময়দানে সাংসদদের সংবর্ধনা সভাকে বৃহত্তর আয়োজনের মধ্যদিয়ে সফল করার ব্যাপারে সকল ইউনিট, ওয়ার্ড, থানা ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিদের সবান্ধব উপস্থিতি হতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন পূর্বদেশকে বলেন, ‘এতদিন নির্বাচন ভিত্তিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন নেতাকর্মিরা। এখন আবার সাংগঠনিক কাজে নেতাকর্মিদের নিয়োজিত হতে হবে। এজন্য বর্ধিত সভায় বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলো নিয়মিত করার কথা হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রির ঢাকার জনসভায় নেতাকর্মিদের উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের কথাও আছে।’
সদস্যদের আপত্তি : আজ নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী হয়ে চতুর্থবার সরকার গঠনের পর অভিনন্দন জানাতে নেতারা এ সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতকালে নগর আওয়ামী লীগ সদস্যদের উপস্থিতির সুযোগ না রাখায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা। গতকাল রাতে নগর আওয়ামী লীগের এক সদস্য বলেন, অনেককে বয়োজৈষ্ঠ হিসেবে নগর আওয়ামী লীগের সদস্য করা হয়। এটা একধরনের সম্মান। অথচ প্রধানমন্ত্রির সাথে দেখা করতে আমাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।