চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন গতকাল মঙ্গলবার কর্মব্যস্ত দিন অতিবাহিত করেন। তিনি আজ বুধবার সকালে বিভিন্নকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নগরীর বাকলিয়া বি.এড কলেজ কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে নিজের ভোট দেবেন। এদিকে ডা. শাহাদাত হোসেন গতকাল সকাল থেকে নিজ বাসায় আসা বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীদেও বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। পরে দুপুরে নেতাকর্মী ও এজেন্টদের গ্রেপ্তার বিষয়ে অভিযোগ দিতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক শান্তিপ্রিয় দল। আমাদের আস্থা জনগণের ওপর, আর জনগণের আস্থা ধানের শীষের ওপর, তাই সুষ্ঠূ নির্বাচন হলে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।
তিনি বলেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং জনগণের ভোটের প্রতি আগ্রহী করে কেন্দ্রে নেয়ার জন্য আমরা গত ৩ মাস মানুষকে সচেতন করেছি। কিন্তু নির্বাচনের আগমূহুর্তে বহিরাগত সন্ত্রাসী, মাস্তান ও দলীয় ক্যাডার দিয়ে ভোটকেন্দ দখলের পরিকল্পনা করছে। অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য দলীয় নেতাকর্মী এবং আমাদের এজেন্টদের গ্রেপ্তার করে হামলা-মামলা অব্যাহত রেখে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করছে। তবে নির্বাচন যেভাবেই হোক আমরা মাঠ ছেড়ে যাবো না।
বিএনপির ৫৬ জন এজেন্ট এবং দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে ডা. শাহাদাত বলেন, নির্বাচনের একদিন আগে ৫৬ জন নির্বাচনী এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যেহেতু এজেন্টরা নির্বাচনের একটি অংশ, তাই নির্বাচনী এজেন্টদের ছাড়িয়ে আনতে কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ^াস দিয়েছেন। আর যদি কমিশন এতে বিফল হয়, তাহলে তাদের ব্যর্থতার দায় নিয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরে আসা উচিত।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনে অনুষ্ঠানের জন্য সাংবাদিক এবং মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। নির্বাচন যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে হয়, সে ব্যাপারে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। বিজ্ঞপ্তি
