নির্বাচনে জিতলে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন কমাবেন জনসন

33

যুক্তরাজ্যে ১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জিতলে অভিবাসন কমানোর অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে বিদেশিদের যুক্তরাজ্যে কাজ করা এবং থাকতে দেওয়ার বিরোধী তিনি নন বলেও জানিয়েছেন। নির্বাচনের আগে দিয়ে জনমত জরিপগুলোতে বিরোধী দল লেবার পার্টির সঙ্গে কনজারভেটিভ দলের ব্যবধান কমে আসতে থাকায় ‘সংশয়ে’ আছেন বলেও স্বীকার করেছেন জনসন। তারপরও জয় পেলে ৩১ জানুয়ারিতে একটি যুগান্তকরী ব্রেক্সিট সম্পন্ন করা এবং অভিবাসন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া প্রশ্নে গণভোটের সময় ব্রেক্সিটের প্রচারে জনসন যেসব প্রতিশ্র দিয়েছিলেন সেগুলোরই প্রতিধ্বনি করে ফের অস্ট্রেলিয়ার আদলে পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থায় সার্বিক অভিবাসন কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। জনসন ব্রেক্সিট কার্যকরের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ইইউবহির্ভূত সবার জন্য সমান অভিবাসন নীতি কার্যকর করা এবং পয়েন্টভিত্তিক পদ্ধতিতে পেশাগত দক্ষতা এবং ইংরেজি দক্ষতার জন্য বেশি পয়েন্ট পাওয়াদের আবেদন বিবেচনার ব্যবস্থা চালু করতে চান। এভাবে যুক্তরাজ্যে অদক্ষ অভিবাসী কমানোই তার লক্ষ্য বলে জানান জনসন।
ওদিকে, ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে জনসন বলেন, “এটি অপরিহার্য। ব্রেক্সিট ছাড়া সামনে আগাতে পারা যাবে না।” কনজারভেটিভরা বলছে, নির্বাচনে জিতে ৩১ জানুয়ারিতে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে পারলে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারিতেই ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যে নাগরিকদের অবাধ চলাচল বন্ধ করা হবে।
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে বরাবরই ‘অভিবাসন’ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এবারও তেমনটিই হয়েছে। জনসনের বিপরীতে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি অভিবাসনের সুযোগ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন তার দলের নীতি হবে অভিবাসীবান্ধব। যদিও ব্রেক্সিটের পর ইইউ নাগরিকদের অবাধ প্রবেশ বন্ধ করবেন কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি। নির্বাচনের আগে দিয়ে বিভিন্ন জনমত জরিপগুলোতে লেবারের সঙ্গে কজারভেটিভ পার্টির পয়েন্টের ব্যবধান কমে ৮ এবং ১৫ এর মধ্যে চলে এসেছে। ব্যবধান এভাবে কমতে থাকায় জনসন ঘাবড়ে যাচ্ছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ”অবশ্যই আমরা প্রতিটি ভোটের জন্য লড়ছি। দেশের জন্য এ সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমি মনে করি।” বিডিনিউজ