নিরাপত্তাহীনতায় প্রচারণায় যাচ্ছেন না হাসিনা আহমেদ

58

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সশস্ত্র ক্যাডারদের মহড়াসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের মারধর ও হুমকি-ধমকির মুখে গত তিনদিন ধরে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের বিএনপি প্রার্থী এড. হাসিনা আহমেদ। ফলে নিজের ও নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি ঘরে বসেই দিন পার করছেন। এ ব্যাপারে নির্বাচন
কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন ধরনের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
গতকাল এক বিবৃতিতে হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘আমি ও আমার কর্মী সমর্থকরা কোন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ, পথসভা কিংবা অন্য কোন নির্বাচনী কর্মসূচি ঘোষণা করলেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন আমরা যাওয়ার আগেই সেখানে গোলাগুলি, নেতা-কর্মীদের মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। ফলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবেই সেই কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বন্ধের কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন নিজেরাই গোলাগুলি, ভাঙচুর করে উল্টো আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন চকরিয়ার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ইলিশিয়ায় নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের শিকলঘাট এলাকায় নিজেরাই তাদের দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে উল্টো বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দুই শতাধিক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া চকরিয়া পৌর সদরে বিএনপির নির্বাচনী প্রচার মিছিলে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীদের আহত করলেও এ ঘটনায় পুলিশ আমাদের মামলা না নিয়ে থানা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এটাই হলো চকরিয়া-পেকুয়ার নির্বাচনী লেভেল প্লেইং ফিল্ড। যেখানে সরকারি দলের জন্য সব মাফ। আর বিরোধী দলের প্রার্থীদের জন্য নেই কোন নিরাপত্তা।’
হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘আমরা চকরিয়া-পেকুয়ার নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছি। নেতা-কর্মী ও সমর্থকরাও ধৈর্য্যধারণ করছেন। কিন্তু সেই ধৈর্য্যরেও একটা সীমা থাকে। সরকারি দলের এই অরাজক পরিস্থিতিতে যদি সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তখন এই নির্বাচনী এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তখন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির ওই দায় নেবে কারা।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চারজন কমিশনার, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চকরিয়া-পেকুয়ায় নির্বাচনী লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণের আহব্বান জানান এড. হাছিনা আহমেদ।