নিরপরাধ লোকজনকে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ

11

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালীতে সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় অন্য ইউনিয়নের ব্যবসায়ী, আইনজীবী, কৃষিবিদ ও চাকরিজীবীসহ ১০ নিরীহ মানুষকে আসামি করে এলাকাছাড়া করার প্রতিবাদে গতকাল রোববার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষে সেলিনা বেগম বলেন- আমার স্বামী মনিরুল আলম বাঁশখালীর গুনাগরির বীর মুক্তিযোদ্ধা কলিম উল্লাহর সন্তান এবং চট্টগ্রাম শহরের একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। তার দুই ভাই চাকরির সুবাদে চট্টগ্রাম শহরে থাকেন। ২০২০ সালের ১২ মে বাঁশখালী উপজেলাধীন ২ নং সাধনপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাদেক আলীর বাড়িতে জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে দুইপক্ষের মারামারি হয়। হামলার আগে নিহত জহির ড্রাইভারসহ তার পরিবারের লোকজন আতর্কিতে হামলা করার এক পর্যায়ে জহির ড্রাইভার মারা যান। ঘটনাস্থলের দক্ষিণে কালিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আমার স্বামী ও তার ভাইসহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন না।
একটি প্রতারক চক্র মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটিকে ভিটে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ঘটনার তিনদিন পর বাঁশখালী থানায় দায়েরকৃত ২৩ ( ৫ ) ২০২০ নম্বর মামলায় আমার স্বামী মনিরুল আলম, তার ভাই নেজাম উদ্দিন, শহিদুল আলম, প্রতিবেশি আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াসিন, তার ভাই মহিউদ্দিন হাসান, কৃষি কর্মকর্তা নূরউল্লাহ, মোস্তফা, রাশেদ, মুবিন, কালু এবং দশজন নিরহ মানুষসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয় ।
এ অবস্থায় পরিবারের উপার্জনক্ষম আমার স্বামী ও তার দুই ভাইসহ একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা মামলার আসামি করায় তারা ব্যবসা ও চাকরি করতে পারছে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা কলিমুল্লাহর তিন সস্তানের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মিথ্যা মামলার কারণে পুরো পরিবারটি এখন অসহায়।
ভুক্তভোগী নারী সেলিনা বেগম আরো জানান- থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের আগে আমার স্বামী, তার ভাইসহ প্রতিবেশিরা ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিল না। তার প্রমাণ হিসাবে নিহত জহির ড্রাইভারের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করা বা নিহত জহিরকে পথে মারধর করার ঘটনা সঠিক নয় বলে সাংবাদিকদের জানান।
সেলিনা বেগম আরো বলেন, পরিবারের লোকজনকে আসামি করার পর স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানতে পারি পূর্বশত্রæতার ধারাবাহিকতাই বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনার রেশ ধরে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের আনিসের সাথে মারামারির পর নিহত জহির ড্রাইভার ঘটনার কিছুক্ষণ পরে নিজ বাড়ির আঙিনায় মারা যান ।
আমরাও চাই জহির ড্রাইভার হত্যা মালমার প্রকৃত আসামিদের সাজা হোক। নিরাপরাধ মানুষ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নিরাপরাধ প্রমাণ হোক ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষে
আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ ইসহাক, রাজিয়া সুলতানা, নিজাম উদ্দিন, নিহত জহির ড্রাইভারকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার পারভেজ প্রমুখ।