নিজ ভাষায় বই পেলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা

18

পূর্বদেশ অনলাইন
সারাদেশের মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নতুন বই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি জেলার চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর শিশু শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন নিজ ভাষার বই। শনিবার (১ জানুয়ারি) সকালে সরকারি নিদের্শনা অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ করা হয়।

প্রাক প্রাথমিকে চাকমা ভাষায় ১২ হাজার ৮০২টি, মারমা ভাষায় দুই হাজার আটটি, ত্রিপুরা ভাষায় ৪১০টি বই। প্রথম শ্রেণিতে চাকমা ভাষায় ১৬ হাজার ৩৭৪টি, মারমা ভাষায় তিন হাজার ২০৪টি, ত্রিপুরা ভাষায় এক হাজার ৪৯১টি বই। দ্বিতীয় শ্রেণিতে চাকমা ভাষায় ১৬ হাজার ৭৪টি, মারমা ভাষায় তিন হাজার ৭৫টি, ত্রিপুরা ভাষায় এক হাজার ৩৯৮টি বই। তৃতীয় শ্রেণিতে চাকমা ভাষায় পাঁচ হাজার ৪৮৭টি, মারমা ভাষায় এক হাজার ১৪৮ টি, ত্রিপুরা ভাষায় ৪৪২টি বই বিতরণ করা হয়।

শীতের সকালে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই নিতে উপস্থিত হয় শিক্ষার্থীরা। নতুন বই পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করে তারা। নতুন বই নিয়ে আবারও তারা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মাধ্যমিকে আট লাখ ৯০ হাজার বই বিতরণ করা হচ্ছে। অপরদিকে প্রাথমিক পর্যায়ে তিন লাখ ৭৯ হাজার বই এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ২৮ হাজার ৭৪৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাতৃভাষার ৬৪ হাজার বই বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, জেলায় চাহিদা অনুসারে সব বই হাতে পাওয়া গেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে বিদ্যালয়গুলো থেকে বই বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে তিন লাখ ৭৯ হাজার বই এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাতৃভাষার ৬৪ হাজার বই বিতরণ করা হচ্ছে। প্রায় সব বই চলে এসেছে। কিছু বই আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে চলে আসলে সেগুলোও বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রেণি কার্যক্রমে পরিচালনা করা হবে।