নিজের গানের স্বত্বাধিকার হারালেন টেইলর সুইফট

70

নিজের ক্যারিয়ারে যতো গান লিখেছেন ও গেয়েছেন, সেগুলোর মালিকানা হারিয়ে ফেলেছেন টেইলর সুইফট। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে পপসঙ্গীতের এই উজ্জ্বল তারকার জীবনে এটাই সত্য। আর এসবের মালিকানা কিনে নিয়েছেন জাস্টিন বিবারের ব্যবস্থাপক স্কুটার ব্রান।
টেইলর সুইফট তার ব্লগে জাস্টিন বিবারের ব্যবস্থাপক স্কুটার ব্রানকে অভিযুক্ত করে লিখেছেন, স্কুটার নাকি কয়েক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম করে আসছেন। এমনকি কৌশলে তার মেধাস্বত্বও কিনে নিয়েছেন।
কিছুদিন আগে (৩০ জুন) টেইলর সুইফট তার ব্লগে লিখেছেন, ‘আমি অনুরোধ করেছি, আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিগ মেশিন রেকর্ডস থেকে নিজের কাজগুলোর মেধাস্বত্ব কিনে নিতে। কিন্তু আমাকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি। বরং ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা স্কট বোরচেটা আমাকে আরেক চুক্তিতে সই করতে বলেন। আমি করিনি। আমি জানি, ওই চুক্তিতে সই করলে আমি নিজেকে ও আমার ভবিষ্যতের সব কাজকেও বিক্রি করে ফেলতাম। যা ঘটার তা ঘটেই গেছে। আমাকে প্রচÐ মর্মযন্ত্রণাদায়ক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হলো। আমার অতীতের সব কাজের মেধাস্বত্ব হারিয়ে ফেললাম।’
টেইলর আরও লিখেছেন ‘আমি জানতে পারলাম, স্কুটার ব্রান আমার কাজগুলো কিনে নিয়েছেন। অথচ বিগত বছরগুলোতে তিনি আমার বিরুদ্ধে অবিরাম অনিয়ম করে এসেছেন। আর এখন, তিনি আমার সারা জীবনের কাজ ছিনতাই করে নিলেন, যা কিনে নেওয়ার সুযোগ আমাকে দেওয়া হয়নি। মূলত, আমার সঙ্গীতের উত্তরাধিকার চিরকালের জন্য এমন একজনের হাতে পড়লো, যিনি সব সময়ই আমাকে ভেঙে ফেলতে চেয়েছেন। স্কট ও স্কুটার দু’জনে মিলে এ কাজ করলেন।’
‘সৌভাগ্যবশত, আমি এখন এমন চুক্তি করেছি যাতে আমার সৃষ্টি প্রতিটি কাজের স্বত্বাধিকার আমারই থাকবে। সেও ভালো, আমার অতীতকে স্কটের হাতে সঁপে দিয়েছিলাম, কিন্তু ভবিষ্যতকে নয়। তরুণ শিল্পী যারা সঙ্গীত নিয়ে স্বপ্ন দেখেন, আশা করি তারা এটা পড়বেন। সেইসঙ্গে সমঝোতা চুক্তিতে নিজেকে কীভাবে রক্ষা করতে হয়, সেই ব্যাপারটা শিখবেন। আপনি যা সৃষ্টি করেন, তার মালিকানা আপনার অধিকার। আমি আমার অতীত কাজগুলোর জন্য সব সময়ই গর্বিত থাকবো।’
তবে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুটারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাস্টিন বিবার। তিনি সামাজিক মাধ্যমে (০২ জুলাই) লিখেছেন, টেইলর সুইফট তার সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা না বলে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিতর্কটা নিষ্পত্তি করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
জাস্টিন লেখেন, ‘আমি ও স্কুটার দু’জনেই আপনাকে ভালোবাসি। আমি মনে করি পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমেই দ্ব›েদ্বর নিষ্পত্তি হতে পারে। অনলাইনে তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে এর সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। আমি ও স্কুটার দু’জনেরই ভালো লাগবে যদি আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলি। যতো দ্বন্দ্ব বা মনোকষ্ট আছে, তা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। স্কুটার বা আমার কারোরই আপনার বিষয়ে নেতিবাচক কিছু বলার নেই। আমরা আপনার সেরাটাই কামনা করি। আমি সাধারণত এমন বিতর্কে আসি না। কিন্তু যখন আপনি আমার পছন্দের কারও মানহানির চেষ্টা করছেন, তখন আমি হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। আপনি আপনার সীমা লঙ্ঘন করেছেন।’
ঘটনা এখানেই থেমে নেই। গত শুক্রবার নিউইয়র্কে একটি কনসার্টে টেইলর সুইফট তার গানের মধ্যে স্কুটারকে নেতিবাচকভাবে ইঙ্গিত করেছেন। বোঝা যাচ্ছে, এর রেশ থাকবে আরও অনেক দিন।