নিজেদের অর্জন ধ্বংস করে ‘পুতুল’ হয়েছে আ.লীগ

23

আওয়ামী লীগের অতীতের সংগ্রামের প্রশংসা করে বর্তমান ভূমিকার সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তাদের (আওয়ামী লীগ) যে লড়াই ছিল, যে গৌরবময় সংগ্রাম ছিল, সব ধ্বংস করে দিয়ে আজকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটা পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। এদেশকে তারা পরাধীন করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কাউন্সিলে একথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
ভারতের নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে সরকারের নীরবতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, পাশের দেশে অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে আমরা মাথা ঘামাকে চাই ন। কিন্তু সেখানকার আইন যদি আমাকে আক্রান্ত করে, তাহলে তো সেই কথা বলার অধিকার অবশ্যই আমাদের আছে।
তারা এনআরসি করেছে, কোনো আপত্তি নেই আমাদের। সেই এনআরসিতে বাংলাদেশের মানুষের কথা বার বার বলা হচ্ছে যে বাংলাদেশের মানুষ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে, সেটা আমরা কোনোমতেই মেনে নিতে পারি না। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে এই সরকার এ বিষয়ে কোনো রকমের গুরুত্ব দেয় না। খবর বিডিনিউজের
সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, দুর্নীতি চরম পর্যায়ে চলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতি জায়গায় তারা দুর্নীতি করছে। অন্যদিকে তারা পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশকে একটা তারা গিনিপিগের মধ্যে পরীক্ষাগার তৈরি করছে। এটা আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের পাশে রেখে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব।
এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে হবে। এজন্য আমরা শুধু ঐক্যফ্রন্ট নয়, অন্যান্য জোটগুলো নয়, আমাদের সমস্ত দেশের মানুষকে এক করে, সমস্ত দেশে গণতন্ত্র বিশ্বাসী দলগুলোকে এক করে আজকে লড়াই করতে হবে।
ওই আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কথাও বলেন ফখরুল। কারণ তিনি হচ্ছেন গণতন্ত্রের প্রতীক, সংগ্রামের প্রতীক। তাকে মুক্ত করে আমাদের সংগ্রাম জয় করতে সক্ষম হবে। আজকে আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তাহলে কোনো স্বৈরশাসনই, কোনো একনায়কই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে জেএসডির কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা কামাল হোসেন।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল�াহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিকল্পধারার নুরুল আমীন ব্যাপারী, শাহ আহমেদ বাদল, জেএসডির তানিয়া রব, মো. সিরাজ মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির জয়নুল আবদিন ফারুক, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, মহসিন রশিদও উপস্থিত ছিলেন।