নিখিল চাকমাকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চায় রাঙামাটিবাসী

45

আবারো রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নিখিল কুমারের নাম শোনা যাচ্ছে। নতুন সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য পরিবর্তনের জন্য একটি ফ্যাক্স বার্তা আসে। আর এই ফ্যাক্সে যার নাম থাকবে তিনি হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দলের লোকজন নিয়েই গঠিত হয়ে থাকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের পরিচালনা পরিষদ।
তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এ নেতার নাম। আবারো রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিখিল কুমার চাকমাকে দেখতে চায় রাঙামাটিবাসী। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা একজন সৎ লোক ও সাধারণ মানুষের সাথে সদালাপি এবং ভাল লোক। তাই তাকে পাহাড়ি বাঙালি সবাই ভালবাসে। যার কারণে সর্বস্তরের লোকজন বলছে এবার নিখিল কুমার চাকমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিলে জনগণের উপকার হবে। নিখিল কুমার সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে জানেন।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে তার অবদান ছিল অনেক বেশি। জেলার ১০ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল থেকে নিখিল কুমার চাকমার নামই বার বার শোনা যাচ্ছে আর তৃণমূলের মুরব্বিরাও বলছেন নিখিল কুমার চাকমাই এ পদের জন্য উপযুক্ত। তবে এ ব্যাপারে জনমনে অনেক ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। ১৯৮৯ সালের পর হতে প্রায় ৩০ বছর হলো তিন পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই। ৫বছর পর পর ফ্যাক্সের মাধ্যমে পরিষদ রদবদল হয়ে থাকে। এতে জনগণের ভোট অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। জেলা পরিষদগুলো জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান হলেও এখানে জনপ্রতিনিধিদের কোন মূল্যায়ন করা হচ্ছেনা। তাই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোকে নির্বাচনমুখী করার জন্য নীতি নির্ধারকদের প্রতি দাবি জানান স্থানীয় ভোটাররা।
সাধারণ মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া- ফ্যাক্সে জনপ্রতিনিধি তৈরি করে পুতুলের মত বসিয়ে দিলে এখানে আর জনগণের মূল্যায়ন থাকেনা। তাই এ সরকারের অধীনেই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন চান তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ি বাঙালি জনগণ।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো.কামাল উদ্দিন বলেন,এ সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সরকার। তাই গণতান্ত্রিকভাবে জেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। নির্বাচন হলে জনগণের কথা বলার অধিকারটুকু বেশি প্রাধান্য পেত। অপরদিকে জননেতা দীপংকর তালুকদার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগও নির্বাচনের পক্ষে। তবে এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানে একজন যোগ্য চেয়ারম্যান প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন।