নিউমার্কেট এলাকায় দোকান বন্ধ, বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন

50

পূর্বদেশ অনলাইন
ব্যবসায়ী-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘাতকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।বুধবার (২০ এপ্রিল) ঘটনার তৃতীয় দিনে এসেও সংঘর্ষের জেরে সকাল থেকে পুরো এলাকার দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা বন্ধ মার্কেটের সামনে ভিড় করছেন। এদিকে, পুরো এলাকায় বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে ডিবি পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদেরও। এদিন সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, সায়েন্সল্যাব মোড়, নিউ মার্কেট এলাকার চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটগুলোর সামনে সামনে ও নীলক্ষেত মোড় এলাকায় পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। পুলিশের একাধিক টহল টিম কিছুক্ষণ পর পর মার্কেট এলাকা প্রদক্ষিণ করছেন।
মার্কেটগুলো বন্ধ থাকলেও দোকানী ও কর্মচারীরা মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে অপেক্ষা করছেন। দোকান খোলার অনিশ্চয়তা থাকলেও তারা নিজ নিজ মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আজিজ আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকে এই একটা ঈদের। এরমধ্যে গত ২ বছর করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবাই এবারের ঈদ নিয়ে অনেক আশায় ছিলেন। এর মধ্যে এমন পরিস্থিতিতে সকল ব্যবসায়ীরা অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চাই, শান্তিতে ব্যবসা করতে চাই। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকলেও বেলা ১১ টা পর্যন্ত কারো উপস্থিতি দেখা যায়নি। নীলক্ষেত মোড় এলাকার বই ব্যবসায়ী আসাদ বলেন, পরিস্থিতি থমথমে। সরকার আছে, প্রশাসন আছে, পুলিশ আছে তারা সিদ্ধান্ত দিলে আমরা দোকান খুলবো। আমরাতো দোকান খোলার জন্য এসেছি, ঝামেলা করার জন্য আসিনি। এই আতঙ্ককে ঘিরে নিউ মার্কেট এলাকার সড়কে খুবই কম সংখ্যাক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু সংখ্যক যাত্রীবাহী বাস ও রিক্সা চলাচল করলেও তা সংখ্যায় খুবই কম।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কেউ শিক্ষার্থীদের চাঁদাবাজি, কেউবা কমদামে পণ্য কেনা নিয়ে সংঘর্ষ বলে ধারণা করছেন। আসলে নিউমার্কেটের রাস্তায় ২ ফাস্টফুড দোকানের টেবিল বসানো নিয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদ থেকে এ সংঘাতের শুরু হয়। এই বিবাদে একপক্ষ আরেক পক্ষকে শায়েস্তা করতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ডেকে আনে। এরপর ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই উত্তেজনা দেখা দেয়।