নাশকতাকারীদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত মহানগর আওয়ামী লীগ

32

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির কথিত সরকার উৎখাত কর্মকান্ডের নামে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে আবারো নাশকতা, অরাজকতা ও জ্বালাও-পোড়াও কান্ডের আলামত সুষ্পষ্ট হয়ে উঠায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন নগরীর ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে এবং ১৩২ টি ইউনিটের নেতৃত্বকে নগরবাসীর জানমাল রক্ষায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি ও সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।
৮ ডিসেম্বর যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেছেন, বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার পরও তারা গতকাল থেকেই ঢাকার পল্টনে রাজপথে অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিতে গেলে তারা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ জনগণের উপর হামলা চালায় এবং ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ শুরু করে দেয়। এতে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মহড়া শুরু করে দিয়েছে। এই কর্মকান্ড সমগ্র দেশবাসীর জন্য অশনিসংকেত। আমরা এই অবস্থায় চুপ করে থাকতে পারি না। আমরা তাদেরকে অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করবো এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে থাকবো। বিবৃতিতে স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, তারা আজ থেকে যার যার নির্দিষ্ট এলাকায় সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকবেন এবং কোনরকম অঘটনের আভাস পাওয়া মাত্র তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবেন সর্বোপরি জনগণকে সাথে নিয়ে নাশকতাকারীদের প্রতিহত করার মানসিক ও রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে হবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এলাকায় যারা চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারী বা কোনো সন্দেহভাজনকে দেখামাত্র তাকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইতোমধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দিঘির পাড়সহ দু’একটি এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। কোথাও কোথাও ঝটিকা মিছিল বের করে আতংক সৃষ্টি করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার সময় এসেছে।