নালায় পড়ে মৃত্যু : ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

11

নিজস্ব প্রতিবেদক

নালায় পড়ে মারা যাওয়া আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সেহরীন মাহবুব সাদিয়ার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন হয়েছে। নগরীর আগ্রাবাদ মাজার গেট এলাকায় ড্রেনে পড়ে মারা যান ওই শিক্ষার্থী।
গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও সিসিবি ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার অনিক আর হক এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ। তার খোঁজ আর মেলেনি। তার আগে গত ৩০ জুন ষোলশহর চশমা হিল এলাকাতেও এমন দুর্ঘটনায় মারা যান দুজন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে আগ্রাবাদে নবী টাওয়ারের কাছাকাছি নাছিরছড়া খালে পড়ে তলিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়া। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় কয়েক টন আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে ১৯ বছর বয়সী সাদিয়ার লাশ উদ্ধার হয়। সরু সেই অংশের উপর দিয়ে হেঁটে পেরোনোর সময় পড়ে যান সাদিয়া। আবর্জনায় ভরা সেই খালের মুখ থেকে সাদিয়া পানির টানে চলে যান শেখ মুজিবের সড়কের নিচে। সেই সড়কের নিচে বক্স কালভার্ট। কালভার্টের স্ল্যাব ভাঙার পর সাদিয়ার সন্ধান মেলে।
শেখ মুজিব সড়কের ওপর দিয়ে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ চলছে। নিচের সড়কটি প্রশস্ত করছে সিডিএ। সেই কাজের অংশ হিসেবে রাস্তা চওড়া করার পর পাশে নতুন করে নালা করা হয়।
এর আগে সালেহ আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার পর সিডিএ ও সিটি করপোরেশন একে অন্যের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছিল। পরে সালেহ আহমদের ছেলেকে চাকরি দেয় সিটি করপোরেশন। সম্প্রতি সেই চাকরি ছেড়ে দেন সালেহ আহমদের ছেলে।