নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে ২৪ শতাংশ

17

দেশে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১০ মাসে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে ২৪ শতাংশ। নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক নতুন এই তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের প্রথম ১০ মাসের মধ্যে ব্র্যাকের আইন সহায়তা ক্লিনিকগুলোতে নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক ২৫ হাজার ৬০৭টি অভিযোগ আসে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১৫ হাজার ৪৭টি অভিযোগ ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির’ মাধ্যমে সমাধান করা হয়। ৩ হাজার ২৩৯ জন ভুক্তভোগীকে আইনি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭২৪ জনের অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে সহায়তা করা হয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
ব্র্যাক জানায়, ২০১৯ সালের প্রথম ১০ মাসের তুলনায় ২০২০ সালের প্রথম ১০ মাসে বাল্যবিয়ে বেড়েছে ৬৮শতাংশ। অপরদিকে, একই সময়ে গত বছরের তুলনায় ৭২% শতাংশ বেশি বাল্যবিয়ে বন্ধ করাও সম্ভব হয়েছে। নইলে বাল্যবিয়ের সংখ্যাটা আরও বেড়ে যেতো ।
জরিপের তথ্য প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাল্যবিয়ে বেড়ে যাওয়ার এই হারের সঙ্গে বাড়ছে নারী নির্যাতনের হারও। তাই এই বালিকাবধূদের অধিকাংশই পরবর্তীকালে নির্যাতনের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ১৮ বছরের বেশি বিবাহিত মেয়েদের তুলনায় ৫০% বেশি শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হয় ১৫ বছরের কম বয়সী বিবাহিত কন্যা শিশুরা। বালিকাবধূদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে— স্বামী চাইলেই তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতে পারে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন,‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই এবং লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করাকে ব্র্যাক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। কোভিড -১৯ মহামারি এই লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলেছে। ওপরে উল্লিখিত ব্র্যাকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে, স্থানীয় জনগোষ্ঠেীর সংগঠিত ও সচেতন প্রচেষ্টায় সফলভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। কোভিড -১৯ পরিস্থিতিতে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ও সমাজের সব স্তরের দৃঢ় অঙ্গীকার ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর ‘আন্তর্জাতিক নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসন দিবস’ থেকে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ ‘মানবাধিকার দিবস’ পর্যন্ত নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধে ১৬ দিনের কর্মসূচি পালন করা হয়।