নানা পদক্ষেপেও যানজট নিত্যদিনের ঘটনা

22

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে প্রায়ই লেগে থাকে যানজট। দুই দিকে সড়কের পাশে সারি সারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বড় বড় গাড়ি দাঁড় করানোর কারণে এই যানজট বলে মনে করে হাইওয়ে পুলিশ। আসন্ন ঈদে মহাসড়কের এই যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। গত ২৪ এপ্রিল ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত যানজটমুক্ত করতে একটি যৌথ সভা হয়। এতে সীতাকুন্ড মডেল থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সীতাকুন্ড থেকে শহরে নিয়মিত যাতায়াতকারী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সীতাকুন্ড অংশে মহাসড়কে যানজটের মূল কারণ হলো সড়কের পাশে লাগোয়া শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বড় বড় গাড়ি সড়কে বের হতে ও প্রবেশ করতে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। গত দুইদিন ধরে মহাসড়কে কোন যানজট আমার চোখে পড়েনি। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সড়কে অধিক সংখ্যক লোকজন রেখে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখছে। আর সড়কের পাশে সারি সারি দাঁড়ানো গাড়িগুলোও দেখছি না। আশা করছি এভাবে থাকলে মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশ যানজটমুক্ত থাকবে।’
সীতাকুন্ডের বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি কাজী মো. নাজমুল হক বলেন, ‘যানজটের মূল কারণ হলো কারখানার সামনে সারি সারি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা। বৈঠকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন। উনারা কথা দিয়েছেন মহাসড়কে কারখানার সামনে স্ব স্ব উদ্যোগে জনবল রেখে সড়ক নির্বিঘ্ন রাখবে। তাছাড়া অধিক সংখ্যক পুলিশ মহাসড়কের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা, মহাসড়কে কোন গাড়ি দাঁড় করিয়ে কাগজপত্র না দেখাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, গত দুইদিন মহাসড়কে কোন রকম যানজট হয়নি, ঈদ যাত্রায়ও হবে না।’