নানা আয়োজনে খাগড়াছড়িতে হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

27

১৫ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি হানাদার মুক্ত দিবস। নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের এডিএম খন্দকার রেজাউল করিম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. রহিম উদ্দিনসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নিজস্ব ভবনের হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন- সাংসদ বাসন্তী চাকমা। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তাদের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে সচেতন করে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব। স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের একদিন পূর্বেই (১৫ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়িকে শত্রæমুক্ত করে বিজয়ের পতাকা উড়ানো হয়। মুক্তি সেনারা এই দিনে পাক বাহিনী, ও তাদের মিত্র মিজু বাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর সাথে তুমুল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িকে শত্রæমুক্ত করে।
সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, ভারত থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সাব এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে খাগড়াছড়ির তবলছড়ি, পানছড়ি ও ভাইবোন এলাকায় পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে পাক বাহিনীকে পরাজিত করে। পরে খাগড়াছড়ি সদর অভিমুখে আসার পথে কুকিছড়া এলাকায় পাকিস্তান অনুগত মিজো বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের উপর অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি চালালে বাধে তুমুল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে মিজু বাহিনী পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় পূর্বের পাহাড়ের দিকে। বিজয়ের আগের দিন পর্যন্ত পাক সেনা, মিজো বাহিনী ও রাজাকারদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মিজো বাহিনী ও রাজাকার মিলে প্রায় ৩শ জনের মত নিহত হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী ও উকিল আহাম্মদ বেশ সাহসী ভূমিকা রাখেন। সব শেষে ১৫ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে মুক্তি যুদ্ধের সাব ডিভিশন কমান্ডর ও সাব এডমিনিস্ট্রেটর দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সঙ্গীয় মুক্তি যোদ্ধাদের নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের পতাকা উড়ান।