নাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা

5

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

ফটিকছড়ি উপজেলার আনন্দপুর (হালদা ভ্যালি) চা বাগানের বাদুড়খিল নামক স্থানে টিলা কেটে অবৈধ একটি লেক খনন করার অভিযোগে শিল্পপতি নাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি পেডরোলো গ্রুপ এবং ফটিকছড়ির ‘হালদা ভ্যালি’ চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
গত রবিবার রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আবু বক্কর বাদী হয়ে ভুজপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান বাদী।
জানা গেছে, ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে হালদা ভ্যালি চা বাগানের ভেতরে বাদুড়খিল নামে একটি টিলার পাদদেশ খনন করে লেক তৈরির কাজ করছিল বাগান কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাব্বির রহমান সানি বাগানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালান।
অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মহসিন হোসেনকে এক বছর এবং স্কেভেটর চালক গৌতম দাশকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ইউএনও’র নির্দেশে রাতে বাগান মালিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ভুজপুর থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, হালদা ভ্যালি চা বাগানের ভেতর টিলা কেটে ও সরকারি জমির মাটি খনন করার অভিযোগে নাদের খানের বিরুদ্ধে নারায়ণহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আবু বক্কর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউএনও মো. সাব্বির রহমান সানি বলেন, হালাদা ভ্যালি চা বাগানের অভ্যন্তরে বাদুড়খিল নামক স্থানে টিলার পাদদেশে অবৈধভাবে একটি লেক খনন করার খবর পেয়ে অভিযান চালায়। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৪ (চ) লঙ্ঘনের অপরাধে একই আইনের ১৫ ধারায় বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক মহসিন হোসেনকে এক বছর এবং স্কেভেটর চালক গৌতম দাশকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয় এবং এই অপরাধে বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাদের খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
এছাড়া হালদা ভ্যালি চা বাগান এলাকায় সরকারি রাস্তার উপর গেট নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল, যা মোবাইল কোর্ট চলাকালীন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। উক্ত গেট সার্বক্ষণিক খোলা রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইউএনও মো. সাব্বির রহমান সানি আরো বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সহায়তা করেন ফটিকছড়ি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এটিএম কামরুল ইসলাম, ভুজপুর থানা পুলিশ ও বন বিভাগ।