নাট্যজন শান্তনু বিশ্বাস পরলোকে

51

নাট্যকার, নাট্য নির্দেশক, সংগীত শিল্পী, গীতিকার, নাট্য অভিনেতা শান্তনু বিশ্বাস (৬৯) আর নেই। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।। কালপুরুষ নাট্য স¤প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক মিশফাক রাসেল জানান, মঙ্গলবার (৯ জুলাই) অসুস্থ হওয়ার পর তাকে নগরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের সুবিধার্থে মরদেহ আজ শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে রাখা হবে। এরপর বিকেল চারটায় নগরের এমএম আলী সড়কের চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুক্তমঞ্চে নেওয়া হবে। শান্তনু বিশ্বাসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের নাট্যাঙ্গণের কলাকুশলীরা। শান্তনু বিশ্বাস মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাটক লেখা, অভিনয় ও নির্দেশনা শুরু করেন। ১৯৭৬ সালের দিকে কয়েকজন নাট্যকর্মী সহ অঙ্গন থিয়েটার গড়ে তোলেন। ‘কালো গোলাপের দেশ’ তাঁর লেখা প্রথম নাটক। এর আগে তিনি ‘অঙ্গন’ এবং ‘গণায়ন’-এ অভিনয় করে সারাদেশে একজন শক্তিমান অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তিনি নাটকের নির্দেশনা আবহও তৈরি করেন তৃতীয় নাটক ‘নবজন্ম’-তে। মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা নাটক ‘ইনফরমার’ ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। তিনি বিশ্ব নাট্যের অনেক নাটক অনুবাদ করেছেন, রূপান্তরও করেছেন, কিশোর নাট্য রচনা করেছেন। কবি মনিরুল মনিরের খড়িমাটি থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয় শান্তনু বিশ্বাসের গানের বই ‘গানের কবিতা-খোলাপিঠ’। তিনি সঙ্গীতের সংগঠকও। এ বিষয়ে তিনি গবেষণা করেছেন, প্রবন্ধও লিখেছেন। বহুরৈখিক আড়ালচারী শিল্পী কালপুরুষ নাট্য স¤প্রদায়ের উপদেষ্টা শান্তনু বিশ্বাস নিজের রচনা, নির্দেশনা ও অভিনয় নিয়ে সবশেষ মঞ্চে ওঠেন ২৮ জুন, ‘নির্ভার’ নাটক মঞ্চায়নকালে। বিজ্ঞপ্তি