নাটক জমিয়ে ফের চট্টগ্রামেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত মিরাজের

22

ক্রীড়া ডেস্ক

ছেড়ে যাওয়ার নাটক জমিয়ে শেষে আবার চট্টগ্রামেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মধ্যকার চলমান নাটকের পর দুই পক্ষে পাশাপাশি বসে মিরাজের ‘থেকে যাওয়ার’ সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বেশ নাটকীয়কার পর মিরাজ নিজেই জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ছেড়ে যাচ্ছেন না তিনি। আজ চ্যালেঞ্জার্সের জার্সিতে মাঠে নামবেন তিনি।
কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে তার আভাস পাওয়া গেছিল শনিবার সন্ধ্যায়ই। নিজেদের চার ম্যাচ যাওয়ার পর এদিন আচমকাই অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আনে চট্টগ্রাম। মিরাজের পরিবর্তে চট্টগ্রামের হয়ে টস করতে নামেন নাঈম ইসলাম।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নেতৃত্ব বদল আনার নজির বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক আছে। তবে মিরাজের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি কিছুটা অস্বাভাবিক মূলত দুটি কারণে। প্রথমত, তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দল টুর্নামেন্টে বেশ ভালো শুরু করেছে। চার ম্যাচ শেষে তারা ছিল পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। দ্বিতীয়ত, মিরাজের নিজের পারফরম্যান্সও খারাপ ছিল না।
যদিওবা পরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘চাপমুক্ত’ করতে মিরাজকে অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দলীয় সূত্র থেকে বলা হয়, সদ্য বিদায়ী কোচ পল নিক্সনের পরামর্শেই সরানো হয় মিরাজকে। তবে যেভাবেই হোক, নেতৃত্ব হারানোর বিষয়টি একেবারেই ভালো লাগেনি জাতীয় দলের অলরাউন্ডারের। মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন ‘অভিমানী’ মিরাজ। চট্টগ্রামের জার্সিতে আর মাঠে নামতে চান না জানিয়ে এজন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বরাবর চিঠিও দেন তিনি।
এরপর বিকেলে ছেড়ে দেন টিম হোটেল। মিরাজের ফ্লাইট ছিল বিকাল সাড়ে ৫টায়। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মিরাজ তার স্ত্রী-সন্তানসহ ঢাকায় ফেরার জন্য টিম হোটেল ছেড়ে নিচে নামেন। তখনই চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজির এক কর্মকর্তা তাকে আবার হোটেলে ফিরিয়ে নিয়ে যান। এসময় মিরাজ দেন বিস্ফোরক তথ্য।
মিরাজ বলেছেন, ‘আমাদের মালিকপক্ষ খুব ভালো। তারা কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত নয়। তাদের নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। ইয়াসিরই (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সিওও) মূল কালপ্রিট। ইয়াসির দলে থাকলে আমি খেলব না। সব সময়তো ব্যস্ত থাকে দেখি।’
এরপর আর ঢাকায় ফেরা হয়নি মিরাজের। ফ্র্যাঞ্জাইজি মালিকের সঙ্গে বসেন বৈঠকে। সেই বৈঠকে হয়েছে বনিবনা। পরে জানানো হয়ছে, মিরাজ কোথাও যাচ্ছেন না। থেকে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম দলের সঙ্গে। বলা হয়, দুই পক্ষের ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
মিরাজকে নেতৃত্ব থেকে সরানো নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে আগের দিন কথা বলেছিলেন চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ইয়াসির আলম। তার দাবি ছিল, দল ছেড়ে যাওয়া হেড কোচ পল নিক্সনের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিক্সনের বিদায়ী সভায় এ রকম কিছুই ইংলিশ কোচকে বলতে শোনেননি বলেও জানান মিরাজ। তবে গতকাল সাংবাদিকদের সামনে দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করলেও এসব বিষয়ে টু শব্দটি করেননি ইয়াসির।