নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজে ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণের চলাচল

280

বিগত দ্ইু বছর আগেই বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে পানিতে দেবে যাওয়া নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ আকার ধারণ করেছে। যে কোন সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন শঙ্কা করছেন এখানকার জনসাধারণ। তবে এটি ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাগন পুরাতন ব্রিজ এলাকা একাদিক বার পরিদর্শন করে গেলেও এখনো পর্যন্ত ব্রিজ কাজ শুরু না হওয়ায় দুই উপজেলার (ফটিকছড়ি-হাটহাজারী) জনগন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, বর্তমানে ব্রিজটির একাংশ ও মধ্য অংশ নিম্মে দেবে যাওয়ার ফলে রিক্সা,সিএনজি, ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়া আসা বন্ধ রয়েছে। তারপরও প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রসার হাজারো ছাত্র/ছাত্রীসহ ফটিকছড়ি-হাটহাজারীর লক্ষাধিক জনসাধারন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করছেন। এছাড়া ব্রিজের বিভিন্ন অংশে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। দু’পাশে র্রেলিং অকেজো হয়ে পড়েছে। নিচের খুঁটি অনেকটা সরু হয়ে গেছে । যে কোন সময় উক্ত ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বৃহত্তর ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর উপজেলার ২লক্ষাধিক জনসাধারন চলাচলে অসুবিধার সম্মুখিন হয়েছে। হালদা নদীর এই সেতুটি দেবে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলীয় বাণিজ্যিক কেন্দ্র নাজিরহাট বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। জানা যায়, বৃটিশ সরকার ১৯১৯ সালে তৎকালীন ডিস্ট্রিকবোর্ড ফটিকছড়ি-হাটহাজারী উপজেলার সীমান্ত এলাকা নাজিরহাটে এ সেতু নির্মাণ করে। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী ডিনামাইড দিয়ে সেতুটির একাংশ ধ্বংস করে দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে সেতুটি মেরামত করে পূন: যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে। এরপর ২০০৫ সালে ব্রিজটি পূণ:মেরামতের কাজ হলেও ২০০৮ সালে সওজ কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেও ব্রিজের কাছে। সূত্রে আরো জানা যায়, প্রায় সাড়ে ১৪ বছর পূর্বে এ ব্রিজ সংস্কারে হাটহাজারীর পশ্চিম ফরহাবাদ গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী জনৈক ব্যক্তির নিজ তহবিল থেকে অর্থ প্রদান করে। এদিকে সরকারের প্রতি হাটহাজারী-ফটিকছড়িবাসীর বিকল্প এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ পুন:সংস্কার কিংবা এর পাশ্বে নতুন করে আরেকটি ব্রিজ দ্রুত নিমার্ন করার র্দীঘ দিন ধরে জোর দাবী জানিয়ে আসছে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলা, নাজিরহাট পৌরবাসী ও নাজিরহাট ব্যবসায়ীরা।