নাজিরহাট ও বোয়ালখালীতে অগ্নিকান্ডে পুড়েছে বসতঘর

11

নাজিরহাট ও বোয়ালখালী প্রতিনিধি

নাজিরহাটে অগ্নিকান্ডে পুড়েছে ৫ বসতঘর। গত ২০ জানুয়ারি রাতে নাজিরহাট পৌরসভা সদরের ৭ নং ওয়ার্ডের নুরুল আলম মুন্সীর বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় সাড়ে ২২ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারন করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্ধা মোর্শেদ মুন্না বলেন, আমাদের বাড়ির জনৈক ব্যক্তির ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে আমির হোসেনের পুত্র ইছা আহমদ, মো. এয়াকুব, আব্দুস সালামের পুত্র মো. খোরশেদ, মো. জামসেদ, মৃত আব্দুল হকের পুত্র আবু তাহের ঘরসহ ৫ টি টিন-সেটের বসত ঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর মো. ইছমাইল বলেন, খবর পেয়ে সকালে নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজদৌল্লাসহ আমি অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শন করি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পৌরসভা থেকে কিছু সহযোগিতা করেছি। এছাড়া ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ সরোয়ার আলমগীর সকাল ১১টায় অগ্নিকাÐস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। তিনি এলাকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

বোয়ালখালী :
বোয়ালখালীতে আগুনে পুড়ে গেছে তিন বসতঘর। গত ২০ জানুয়ারি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোমদন্ডীর লাল মতির বাপের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার এনামুল হক ভূঁইয়া। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ২টি গাড়ি পৌঁছায়। তবে স্থানীয়রা আগুনে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাজ করতে হয়নি। আগুনে তিনটি ঘরের প্রায় ১০হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হক জানান, আগুনে রিকশা চালক ইউচুপ, দিনমজুর আবদুল হক ও আফিয়া খাতুনের ঘর পুড়ে গেছে। এ শীতের মধ্যে তারা এখন খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে রয়েছেন।