নাইক্ষ্যংছড়ি কম্বনিয়া’র নাগরিকদের নিয়ে আলোচনায় ইউএনও

27

 

বান্দরবানে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। আর এই উপজেলায় সংক্রমণের সংখ্যা ৫জন হলেও,একজন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকী চারজনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই চারজনই উপজেলার কম্বনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। যার কারনে গ্রামটিকে আপাতত ‘হটস্পট’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গত ২৭মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ১৭টি বাড়িসহ লকডাউন করা হয়ছে গ্রামটি। তাদের ১৪দিনের হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বলেছে উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু গত ২৮মার্চ ওই গ্রামে দ্বিতীয় দফায় আরো ৩জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর তাদের আইসোলেশনে আনা নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটে। আক্রান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী ও ইউপি সদস্যকে হুমকি ধমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে। সবমিলিয়ে নানামুখী ঘটনায় কম্বনিয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এদিকে পরিস্থিতিতে সোমবার কম্বনিয়ায় স্থানীয় মুরব্বী ও সচেতন নাগরিকদের নিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে আলোচনা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। এসময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামের মানুষকে করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার আহব্বান জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) কানন চৌধুরী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, ইউপি মেম্বার আলী হোসেন। এই ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান- আইসোলেশনে রোগী নেওয়া ও হোম কোয়ারান্টিন মেনে চলার বিষয়কে একটি কুচক্রি মহল গ্রামের সহজ সরল মানুষদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। আর তাই উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এলাকার মুরব্বীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।এসময় সাধারণ মানুষও প্রশাসনকে সহায়তার আশ্বাস দেন।