নাইক্ষ্যংছড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযানে জরিমানা

22

বান্দরবানের সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়িতে লকডাউন শিথিলের পর পরিস্থিতি মনিটরিং করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হাসান। তার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সময়ে উপজেলা সদরে মনিটরিং করেছেন। এ সময় একটি মুদি দোকানি ও তিনটি মোটরবাইককে জরিমানা করেন তিনি। মনিটরং দল থেকে জানানো হয়- উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান চলছে। সরকার দেশে ১০ এপ্রিল থেকে সীমিত আকারে দোকানপাট ও মার্কেট খোলার ঘোষণার পর উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে লোকজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসবেন যেনতেনভাবে। দোকানপাট খুলতে নির্দেশনা মানছে কিনা ইত্যাকার সংশয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ১০ এপ্রিল থেকে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিংয়ের জন্যে এই উপজেলায় পাঠানো হয় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ টিমকে। তারা সোমবার সকালে অভিযান চালান উপজেলা সদরের ঘিলাতলী, বিছামারা ও হাইস্কুলপাড়া এলাকায়। এ সময় ঘিলাতলী গ্রামের মুদি দোকানে মেয়াদোর্ত্তীণ পণ্য রাখার দায়ে নুরুল আবছারকে ৫শত টাকা জনিমানা করা হয়। হেলমেট ও মাস্ক না পরে মোটরবাইক চালনার দায়ে সড়ক পরিবহন আইনে ড্রাইভার জয়নাল আবেদীন, জাহাঙ্গির আলম ও ইমদাদ মিয়াকে ২শত টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি তাদেরকে সতর্কও করা হয়। এভাবে মনিটরিং টিম উপজেলা সদরের মার্মা পাড়া ও খোলা মাঠে স্থাপিত কাঁচা বাজার পরিদর্শন করে। সে সময় তারা মাছ ব্যবসায়ী ও তরিতরকারী ব্যবসায়ীসহ সকলকে সতর্ক করেন। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে সংক্রমণের আশংকায় লকডাউন ও বাজারের উপর নিষেধ শিথিলের পর সরকারি নির্দেশনাগুলো অবহিত করেন সকলকে। তবে কেউ না মানলে ভবিষ্যৎ এ কঠোর অবস্থানের কথাও জানান দলটি।
এদিকে টিমের প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হাসান বলেন, সরকার চায় জনকল্যাণ। জনগণের স্বার্থেই আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ। যারা এ আইন মানবে না তাদের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশিত বিধি মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ১০ এপ্রিল রোববার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। উপজেলার যেকোন হাট-বাজার অথবা মার্কেটে অভিযান চলবে। যেন করোনা সংক্রমণ রোধ করা যায়।