নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে আসছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি

27

রাহুল দাশ নয়ন

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আসছে শিঘ্রই। কেন্দ্র থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যে কারণে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কমিটি গুছানোর কাজও এগিয়ে রাখছেন। অনেকটা চমক দিয়েই কমিটি আসছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা কম। পাশাপাশি সাবেক যুবনেতা, ছাত্রনেতাসহ নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে জেলা আওয়ামী লীগের এবারের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, ‘কমিটি নিয়ে এ মূহূর্তে কিছু বলতে চাই না। তবে আমরা অতিসত্ত¡র পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করতে চাইছি।’
সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, ‘শীঘ্রই আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করবো। কেন্দ্র থেকেও দ্রæত কমিটি জমা দেয়ার তাগাদা আছে। তৃণমূলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশার যাতে প্রতিফলন ঘটে সেরকম কমিটিই করবো। দীর্ঘদিনের ত্যাগী, পরিচ্ছন্ন ইমেজ আছে এমন নেতাসহ নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটিয়ে কমিটি করা হবে। এ কমিটিতে সাবেক যুবনেতা, ছাত্রনেতারাও থাকবেন।’
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সাথে এক সভায় মিলিত হয়েছিলেন চট্টগ্রামের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সভায় পরবর্তী ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। ইতোমধ্যে এই মেয়াদ শেষ হয়েছে।
গঠনতন্ত্রে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামোর ২(ক) ধারায় উল্লেখ আছে, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ৩৯ জন কর্মকর্তা ও ৩৬ জন সদস্যসহ মোট ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট হবে। কমিটিতে ‘থিংক ট্যাক’ হিসেবে থাকবেন ২৭ জন উপদেষ্টা।
গতবছরের ১২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পুনরায় মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সভাপতি ও মফিজুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে ভর্তি হলে এককভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালান মফিজুর রহমান। গত ৫ ফেব্রæয়ারি মোছলেম উদ্দিন আহমদ ইন্তেকাল করলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে। বর্তমানে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও মফিজুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন। এ দুজনের নেতৃত্বে সুন্দর একটি কমিটি আসতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, কমিটিতে কারা আসছেন তা অনেকটা নিশ্চিত। প্রয়াত সভাপতি মোছলেম উদ্দিন মৃত্যুর আগেই একটি কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলেন। যে বিষয়ে অবগত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানও পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বৈঠক করেছেন। এই দুই নেতার পক্ষ থেকে কমিটিতে আসতে পারেন এমন নেতাদের ফোন দিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। অতীতে জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন এমন পদবঞ্চিত নেতারা এবার কমিটিতে আসতে পারেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষপদে দায়িত্ব পালন করা সাবেক এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘দক্ষিণ জেলায় যে দুইজন নেতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তাঁদের উপর তৃণমূলের আস্থা আছে। দীর্ঘদিন রাজপথে ছিলেন। এই দুই নেতা যে কমিটি পাঠাবেন অবশ্যই সেই কমিটিতে সাবেক যুবনেতা ও ছাত্রনেতাদের ঠাঁই হবে বলেই মনে করছি।’