চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, টেকসই ও পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন বাজেটের সিংহভাগই ব্যয় করা হয় প্রকৌশলীদের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। তাই প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তোমরা আজ যারা চুয়েটে ভর্তি হয়েছো তাদের সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। পড়াশোনার প্রতি মনযোগী হয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের নির্ধারিত শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে আমাদের নবীন প্রকৌশলীদের দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।
ভিসি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নত ও সম্ম”দ্ধ দেশের পথে হাঁটছে। সেই লক্ষ্যে চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে বর্তমানে দেশের অনেক বড়-বড় উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামের মিরসরাই ও আনোয়ারা অর্থনৈতিক জোন, কর্ণফুলী ট্যানেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, এশিয়ান হাইওয়ে ও বিভিন্ন ফ্লাইওভার নির্মাণসহ বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। যেখানে প্রকৌশলী সমাজের একটা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। আর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হ”েছ চুয়েট। সে হিসেবে চুয়েটের প্রকৌশলীরা নিঃসন্দেহে এখানে অগ্রগামী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তিনি গত ৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার), ২০১৯ খ্রি. বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত¡র সংলগ্ন বাস্কেটবল মাঠে ২০১৮-১৯ শিাবর্ষের স্নাতক লেভেল-১ কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের ‘ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হকের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. মো.সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর, অধ্যাপক ড.মো.আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, ড. কৌশিক দেব ও অধ্যাপক ড. মো.আব্দুর রশীদ বক্তব্য রাখেন। ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো.সানাউল রাব্বী। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অগ্রগতি ও পরিচিতিমূলক ‘ব্রিফ প্রেজেন্টেশন অন চুয়েট’ শীর্ষক একটি ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করেন সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। খবর বিজ্ঞপ্তির
