নবজাতকের চার পা

5

মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন গৃহবধূ নাছরিন আক্তার। উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার শেফা ইনসান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে শিশুটির জন্ম হয়। গৃহবধূ ফটিকছড়ি উপজেলার ভ‚জপুর থানার বাগানবাজার ইউনিয়নের হাতির খেদা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের বাড়ির সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ২ টার দিকে নাছরিন আক্তার (১৮) প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় হাসপাতালের ডা. মারিয়া কিবতিয়ার তত্ত্বাবধানে ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুটির জন্ম হয়। গৃহবধূর স্বামী সাইদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ১১ মার্চ নাছরিন আক্তারের সাথে আমার বিয়ে হয়। প্রথমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সেই শিশুটি ডেলিভারির সময় মারা যায়। এরপর ২ বছরের ব্যবধানে মঙ্গলবার ভোরে দ্বিতীয় শিশুর (কন্যা) জন্ম হয়। তবে সে ৪ পা বিশিষ্ট।
তিনি আরো বলেন, সন্তান জন্মগ্রহণের পর যেকোন বাবার মুখে হাসি ফুটে। কিন্তু আমার ও পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন সবার মাঝে দুশ্চিন্তা এই অস্বাভাবিক সন্তান নিয়ে। আমি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। তাতে পরিবার নিয়ে চলা কষ্টকর হয়ে যায়। কিন্তু এখন আমি হতাশার মধ্যে আছি আমার এই সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন হবে।
শেফা ইনসান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগে অভিজ্ঞ ডা. মারিয়া কিবতিয়া বলেন, গৃহবধূ নাছরিন আক্তারের ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম হয়। একই প্রতিষ্ঠানের নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এ ফারুক বলেন, এটি আমার চিকিৎসা জীবনে একটি বিরল ঘটনা, যা আগে কখনো দেখিনি। ৪ পা বিশিষ্ট শিশুটির জন্ম হয়। তবে ৪ পায়ের মধ্যে ২ টি পা ক্লাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২ টি পা অস্বাভাবিক এবং মেরুদন্ড মেনিগোসিল। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮’শ গ্রাম। শিশুটির মা পুরোপুরি সুস্থ্য হলেও শিশুর সামন্য শ^াস কষ্ট রয়েছে।