নতুন বালি আর্কেডে জমজমাট কেনাকাটা

48

কেনাকাটার মজাই অন্য রকম। আর কেনাকাটার সঙ্গে যদি থাকে আকর্ষণীয় কোনো পুরস্কার তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নগরীর সর্ববৃহৎ সুপারমল বালি আর্কেডের ঈদ বাণিজ্য বেশ জমে উঠেছে। এই মল থেকে ক্রেতারা যেকোন পণ্য কিনলেই পাচ্ছেন নানা রকম আকর্ষণীয় পুরস্কার। এতে ক্রেতাদের কেনাকাটার আনন্দ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বিশ্বমানের এই মলে থাকছে সপ্তাহব্যাপী ভিন্ন ধরনের আয়োজন।
শেঠ গ্রæপের ডিরেক্টর অপারেশন তুলু উশ শামস জানান, ঈদ বিক্রয় উৎসব শুরু হচ্ছে ২৫ রমজান থেকে চাঁদ রাত পর্যন্ত। আর এখান থেকে যেকোন পণ্য কিনে কুপন জমা দেওয়ার পর ক্রেতারা পাচ্ছেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল থেকে মেহেদী উৎসব শুরু হয়েছে। যেকোন পণ্য কিনলেই প্রত্যেক ক্রেতার হাতে মেহেদী করে দেওয়া হবে। ৫ এপ্রিল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে মেকআপ ও গ্রæমিং। এখানেও থাকছে আকষর্ণীয় পুরস্কার। আরও থাকছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সেলফি কনটেস্ট। এইখানে ছবি তুলে সেরা ছবি তুলে মিলবে পুরস্কার। ঈফতারের পর ফুডকোর্ট ফ্রি বার্গার খাওয়ার ভিত্তিতে নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। এছাড়া ঈদের পরদিন থেকে ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে ফুড ফেস্টিভ্যাল শুরু হবে।
স্বদেশপল্লীর ম্যানেজার তাওসিফ বলেন, ২ এপ্রিল থেকে আমাদের শো রুমটি চালু হয়েছে। এটি ছাড়া চট্টগ্রামে আমাদের আরও দুটি শো রুম রয়েছে। আমাদের শো রুমে পাঞ্জাবী, থ্রি পিস, শাড়ি ও কিডস আইটেম রয়েছে। আর পাঞ্জাবীর বিক্রি ভালোই চলছে। পাঞ্জাবী ১২শ থেকে ৫ হাজার, থ্রিপিস ২৪শ থেকে ৫ হাজার এবং শাড়ি ১২শ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
‘র’ ন্যাশনের সিনিয়র সেইলস এক্সিকিউটিভ মোস্তফা কামাল বলেন, পাঞ্জাবীর চাহিদা বেশি। আমাদের শো রুমে পাঞ্জাবী ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শার্ট ও টি শার্ট ভালো বিক্রি হচ্ছে। আর যেকোন ডেবিট কার্ডে ১০% ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আমাদের শো রুম চট্টগ্রামে এই প্রথম। তাই ক্রেতাদের ঘুরে এসে দেখার অনুরোধ রইল। এছাড়া ঢাকাতে আমাদের আরও ৬টি শো রুম রয়েছে।
শেঠ গ্রæপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাব আলম শেঠ বলেন, গত ২ এপ্রিল জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্বমানের শপিংমল বালি আর্কেড চালু হয়েছে। এখানে রয়েছে ২৬০টি দোকান। অধিকাংশ দোকান চালু হয়েছে। আর মার্কেটের অধিকাংশ শো রুম ঢাকা থেকে এসেছে, যা চট্টগ্রামের বালি আর্কেডে এই প্রথম শো রুম চালু হয়েছে। চালু হয়েছে বিশ্বমানের ফুড কোর্ট। ফুড কোর্টের বেশিরভাগ দোকান ঢাকা থেকে এই প্রথম এ মার্কেটে এসেছে। এখানকার সার্ভিসটা একটু ভিন্নভাবে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্য মার্কেটের তুলনায় বালি আর্কেডের ভিন্নতা দেখতে চাইলে মার্কেটে ঢুকলেই বুঝা যাবে। খেলাধুলা, খাওয়া-দাওয়া, শপিং ও মুভিং থেকে শুরু করে কি নেই এই মার্কেটে। একজন ক্রেতা চাইলে সারাদিনের জন্য এই মার্কেটে আসতে পারবে।