নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল

14

পূর্বদেশ ডেস্ক

নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায় বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা নতুন খেলা শুরু করেছে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ইশরাক হোসেনের গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, শ্রমিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, কারণ তারা প্রতিবাদ করেছে। আজকে এই মিথ্যা মামলা দিয়ে আবার তারা শুরু করেছে নতুন খেলা। সামনে নির্বাচনের ঢোল বাজাচ্ছে তারা।
বিরোধী দলের সবাইকে আটক করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) একতরফাভাবে নির্বাচন করতে চায় বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে বিএনপির কারসাজি আছে- তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যা কিছু ঘটে তার পেছনে নাকি বিএনপি থাকে। বিএনপি যদি সব কিছু ঘটাতে পারে তাহলে তোমরা ক্ষমতায় আছ কেন? ক্ষমতা ছেড়ে দাও। বিএনপির হাতে ক্ষমতা দিয়ে দাও। দেখো, আমরা দেশ চালাতে পারি কি না।
ফখরুল বলেন, আজ ন্যূনতম মানুষের যেটা প্রয়োজন- চাল, ডাল, তেল ও লবণ- এগুলো দাম আর আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নাই। কি দুর্ভাগ্য আমাদের, এই আওয়ামী লীগের সরকার আজকে শ্রমিক, কৃষক এবং জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কারণ তারা আজকে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কেনার কোনো সুযোগ সৃষ্টি করতে দিতে পারছে না।
নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন আমাদের আর ঘরে বসে থাকার সময় নাই। পরিবর্তন আনতে হবে। এই পরিবর্তন আনতে হলে, এই ভয়াবহ সরকারকে সরাতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। খবর বার্তা সংস্থার।
ঢাকা শহরে প্রত্যেকটি ট্যাপের পানি দূষিত জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনি গিয়ে দেখেন লাইনের যে পানি সেগুলোতে দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়াতে বোঝাই। তার ফলে আজকে প্রতিদিন প্রায় ১৪/১৫শ লোকের ডায়রিয়া হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই যে ডায়রিয়া হচ্ছে। ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া এখন হচ্ছে। আইসিডিডিআর’বি শুক্রবার বলেছে যে, ৬২ বছরে এতো রোগী কখনও আসেনি। কেনো এতো রোগী? কারণ এই ঢাকা শহরে প্রত্যেকটি ট্যাপের পানি দূষিত।
ওয়াসার এমডি কত বছর ধরে আছেন প্রশ্ন করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় আছেন। তাকে বেতন দেওয়া হয় দেশে সব কর্মকর্তাদের চেয়ে সবচেয়ে বেশি। তিনি ৫ লাখ টাকার ওপরে বেতন পান। তাকে অনেকবার সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সরাতে পারেননি। কারণ তিনি অত্যন্ত প্রিয় মানুষ আমাদের সরকার প্রধানের।
তিনি বলেন, এভাবে সব জায়গায় চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সালরদের দেখুন তাদেরকে বসানো হয়েছে তারা কী করে এখন? চুরি করে। চিন্তা করতে পারেন। আবার তারা নিজেরাই বলে যে, এখন ভালো লোককে উপাচার্য হিসেবে পাওয়া যায় না। কী লজ্জ্বার কথা। আরে আপনারা ভালো না বলেই তো ভালো লোককে পান না। ভালো লোক হলেই তো ভালো লোক পাওয়া যাবে। আপনারা বিভক্ত করে রেখেছেন, আওয়ামীলীগ ও বিএনপি ভাগ করে রেখেছেন। আওয়ামীলীগ ছাড়া কোনো কিছু দেখেন না। এর ফলে গোটা দেশকে আজকে আপনারা দলীয়করণ করে ফেলেছেন।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহŸায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ-উজ-জামান মোল্লা, শ্রমিক দলের আবুল খায়ের খাজা, আবুল কালাম আজাদ, মেহেদি আলী খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।