নতুন অতিথি ক্যাঙ্গারু ও লামা কোয়ারেন্টিনে

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হল্যান্ড থেকে আনা ক্যাঙ্গারু এবং লামাগুলোকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এসময় পর্যন্ত প্রাণিগুলো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের তত্ত¡াবধানে থাকবে। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে কোয়ারেন্টিন শব্দটি সামনে এসেছে প্রকটভাবে। তাই করোনা সন্দেহে মানুষের মতো প্রাণি-পাখিরও আছে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা। গতকাল রবিবার ছিল প্রাণিগুলোর কোয়ারেন্টিনের তৃতীয় দিন।এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, নতুন ১২ প্রাণির মধ্যে দুইটি পুরুষ, চারটি স্ত্রী ক্যাঙ্গারু এবং দুইটি পুরুষ, চারটি স্ত্রী লামা আনা হয়েছে। আগামী ১৫ দিন প্রাণিগুলো থাকবে কোয়ারেন্টিনে। এসময় পর্যন্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাণিগুলোর দায়-দায়িত্ব নেবে। এরপর সেগুলো চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বুঝে নেবে। এর আগে গত শুক্রবার ভোর ৫টায় হল্যান্ড থেকে আনা তিন জোড়া করে ক্যাঙ্গারু ও লামা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছায়।
জানা গেছে, দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় সিংহ, ম্যাকাউ, ওয়েলবিস্ট, ক্যাঙ্গারু, লামা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ক্যাঙ্গারু ও লামা এলো চিড়িয়াখানায়। ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এর আগে ৩৩ লাখ টাকায় আফ্রিকা থেকে এক জোড়া বাঘ আনা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে শতাধিক প্রজাতির অর্ধসহস্রাধিক পশু ও পাখি আছে। পশুর মধ্যে আছে সিংহ, পুরুষ ভাল্লুক, কুমির, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, উল্টোলেজি বানর, উল্লুক, হনুমান, গয়াল, সজারু, শেয়াল, মেছোবাঘ, গন্ধগোকুল, জেব্রা ইত্যাদি। রয়েছে ময়‚র, উটপাখি, ইমু, তিতির, টিয়া, চিল, শকুন, টার্কি, পায়রাসহ একটি পক্ষীশালা এবং প্রচুর অজগর সাপ।