নগর যুবদল সভাপতি দিপ্তী কারাগারে

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল দিপ্তীকে। অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রশিকিউশন) মো. কামরুল হাসান বলেন, কোতোয়ালী থানার মামলায় মোশাররফ হোসেন দিপ্তী নামে এক আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানির পর আদেশ দিবেন জানিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, মোশাররফ হোসেন দিপ্তীকে চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোর্ট হাজিরা দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লায় মহাসড়কের একটি হোটেলে যাত্রাবিরতির সময় কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দিপ্তীকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বুধবার সকালে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেও বিএনপির বিভিন্ন নেতার বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীমের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের নেতারা।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা মো. ইদ্রিস আলী বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর মাদারবাড়ি এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীমের বাসায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। এসময় তিনি বাসায় ছিলেন না। তাছাড়া আরো কয়েকজন নেতার বাসায় পুলিশ গেছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের বাসায় তল্লাশির নামে হয়রানি ও নগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত সোমবার নগরীর কাজীর দেউডি এলাকার নাসিমন ভবনস্থ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিল বিএনপি। এসময় কাজীর দেউড়ি মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ২৫৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৩শ জনকে আসামি করে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।