নগর যুবদলের শোকর‌্যালিতে মোনায়েম মুন্না মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে একদলীয় শাসন

6

নিজস্ব প্রতিবেদক
যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, বিএনপি আজ যৌক্তিক আন্দোলনে রাজপথে নেমেছে। ফ্যাসিষ্ট শাসকগোষ্ঠীর লুটপাটে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ডিজেল পেট্রোল, অকটেনের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এক যুগ আগেই বলেছিলেন দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও। দেশের মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে নব্য ডিজিটাল একদলীয় শাসন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে হারানো গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে আমাদের ভাই শাওন শহীদ হয়েছে। জাতীয়তাবাদী জিয়ার সৈনিকদের মুখ বুলেটের আঘাতে স্তব্ধ করা যাবে না।
গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে কাজীর দেউড়ি মোড়ে শোকর‌্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়নগঞ্জে যুবদল নেতা শাওন আহমদ হত্যার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা পালন করা হয় ।
আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, শহীদ জিয়ার হাতেগড়া যুবদল আজ জাতীয়তাবাদী আদর্শের একটি সুশৃঙ্খল ও সুন্দর সংগঠন। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আগামীর আন্দোলন সংগ্রামে যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
নগরীর কাজির দেউড়ি কাঁচা বাজারের সামনে থেকে শোকর‌্যালি শুরু হয়ে কাজির দেউড়ি, লাভলেইন, এনায়েত বাজার হয়ে তিনপুলের মাথায় গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী বলেন, আওয়ামী বাকশালী শাসনে দেশবাসী আজ অতিষ্ঠ। চারিদিকে হাহাকার, লুটপাটের হরিলুট চলছে। দেশের মানুষ ভালো নেই। শুধু ভালো আছে আওয়ামী গোষ্ঠী। গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে। ফ্যাসিবাদমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে রাজপথে লড়াইয়ের আজ বিকল্প নেই।
নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, যুবঐক্য প্রগতির মূলমন্ত্রে বলীয়ান যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত। আমাদের শাওনের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে ফ্যাসিষ্ট শাসকগোষ্ঠী আজ বন্দুকের গুলির উপর নির্ভরশীল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় কোনো স্বৈরাচারই বন্দুকের উপর ভর করে ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পারেনি। শোক র‌্যালিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি আজমুল হুদা রিংকু, নুর আহমেদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, সাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, মো. ইলিয়াছ, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল করিম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, মো. মুসা, মিয়া মো. হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মুজিবুর রহমান, জাহিদ হাসান বাবু, অরুপ বড়–য়া, মোহাম্মদ আলী সাকি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর, ইকবাল পারভেজ, আবদুল্লা আল টিটু, রাশেদুল হাসান লেবু, এরশাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম তাজু, আবদুল হামিদ পিন্টু, দীপংকর ভট্টচার্য, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জিয়াউল হুদা জিয়া, শাহীন পাটোয়ারী, এমদাদুল হক বাদশা, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, রাজন খান, ওমর ফারুক, শিব্বির আহমদ ওসমানী, ফেরদৌস আলম, কামাল পাশা, আসাদুর রহমান টিপু, জাহাঙ্গীর আলম বাচা, ওসমান গনি সিকদার, শাহজালাল পলাশ, মুজিবুর রহমান রাসেল, আহাদ আলী সায়েম, জাফর আহমেদ খোকন, রাসেল নিজাম, মোহাম্মদ ইয়াছিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, জসিম উদ্দিন সাগর প্রমুখ।