নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহব্বায়ক মো. সাইফুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল আলম
বন্দর থানার তিন নম্বর ফকিরহাট গোসাইলডাঙ্গা এলাকার মো. হারুনের ছেলে। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় নগর ছাত্রদলের আহব্বায়ক সাইফুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের আহব্বায়ক মো. সাইফুল আলমকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসারু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বর্তমান অবৈধ সরকারের পতনের আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসছে তখনই সরকার গ্রেপ্তার আতঙ্ক শুরু করে দিয়েছে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিএনপির ওপর দমন পীড়ন চালাচ্ছে। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহব্বায়ক সাইফুল আলম একজন পরিশ্রমী, ত্যাগী ও বলিষ্ট ছাত্রনেতা। ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিল। তাই তাকে রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে রাখতেই অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। তার মামলাগুলো সব রাজনৈতিক মামলা। এভাবে একজন নিরপরাধ ছাত্রদল নেতাকে তার পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত করে বাসা গ্রেপ্তার করা অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার সংবিধান স্বীকৃত জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের পরিবর্তে হুমকি-ধমকি ও উস্কানীমূলক যে সব ভাষায় বক্তব্য রাখছেন, তা নিন্দনীয়। তারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনগণ আজ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। জনগণের এই ঐক্যকে কিছুতেই রুখে দেয়া যাবে না। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে নেতৃত্ব শূন্য করার কোনো পদক্ষেপই সফল হবে না। জনগণ সম্মিলিতভাবে রাজপথে নেমে তাদের কাঙ্কিত বিজয় ছিনিয়ে আনবে।
নেতৃবৃন্দ গ্রেপ্তার ও জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রনেতা সাইফুল আলমসহ সকল বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
