নগরে যান চলাচলে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রামে আগমন উপলক্ষে আজ (রবিবার) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরে যান চলাচলে কোন ধরনের সমস্যা থাকবে না। তবে সমাবেশস্থলের আশপাশের এলাকায় লোকে লোকারণ্য থাকলে ডাইভারশন দিয়ে বিকল্প সড়ক তৈরির কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
বোর্ড পরীক্ষার কথা চিন্তা করে ট্রাফিক বিভাগ সর্বোচ্চ সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এনএম নাসিরুদ্দিন।
গতকাল শনিবার পূর্বদেশকে তিনি বলেন, নগরীর অভ্যন্তরীণ সকল বাস-মিনিবাস চালু রাখা হবে। তবে লালখান বাজার, টাইগারপাস, কদমতলী এলাকায় লোকে-লোকারণ্য থাকলে ওইসব এলাকায় যান চলাচল শিথিল রাখা হবে। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ সময় পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য নির্দেশনা সকল প্রকার যানবাহনের চালক, যাত্রী সাধারণ ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সকলকে যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে যাতে অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি। প্রয়োজনে আমাদের টিম তাদের যাতায়াতে সহায়তা করবে।
এর আগে ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশনা মতে, প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এতে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে রেডিসন গোলচত্বর, ইস্পাহানী মোড়, টাইগারপাস হয়ে পলোগ্রাউন্ড সমাবেশস্থল এবং পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে টাইগারপাস, ইস্পাহানি মোড়, রেডিসন গোলচত্বর হয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কে রবিবার সকাল আটটা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এছাড়া রোড ডাইভারশন থাকবে নগরীর হাই লেভেল রোড, ওয়াসার মোড়, জমিয়াতুল ফালাহ্ পশ্চিম গেট ইউর্টান, লালখান বাজার ফ্লাইওভারের নামার মুখ, আলমাস মোড়, চানমারি রোড, ম্যাজিস্ট্রেট কলোনি রোডের মুখ, সিটি কর্পোরেশন অফিস গলির উভয় মুখ, দেওয়ানহাট ব্রিজের মুখ, টাইগারপাস মোড়, আমবাগান রেলক্রসিং, কাজীর দেউড়ি, নেভাল এভিনিউ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, রেলওয়ে অফিসার্স কলোনি মসজিদ, কুক আউট রেস্টুরেন্ট, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কাঠের বাংলো, ফ্রান্সিস রোড, আটমার্সিং, এনায়েত বাজার, পুরাতন রেল স্টেশন, কদমতলী মোড়, নিউ মার্কেট মোড়, সিটি কলেজ মোড়, ব্রিজ ঘাট (অভয়মিত্র ঘাট), নতুন ব্রিজ (মেরিন ড্রাইভ রোডের মুখ), আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠার মুখ (বেবি সুপার মার্কেট), ষোলশহর ২নং গেট পুলিশ বক্সের সামনে, ফ্লাইওভারে উঠার মুখ (এন মোহাম্মদ মুরাদপুর), পেনিনসুলা হোটেলের সামনে, শহীদ শাহজাহান মাঠের সামনে (আমবাগান রোড), পাঞ্জাবি লেইনের মুখ (জাকির হোসেন রোড) এবং আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়।
এ সকল রুটের মুখে রোড বøক স্থাপন ও ডাইভারশন প্রদানের মাধ্যমে ভিভিআইপি গমনাগমনের সময় সকল ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সমাবেশে গাড়ি নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ড্রপিং পয়েন্টগুলো হলো শাহ আমানত সেতু (নতুন ব্রিজ) গোল চত্বরের পশ্চিম পাশ, কদমতলী, ষোলশহর রেল স্টেশন, শহীদ শাহজাহান মাঠ (আমবাগান রোড), আগ্রাবাদ (বাদামতলী মোড়)।
বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ড্রপিং পয়েন্ট- শহীদ শাহজাহান মাঠ ও নিউ মার্কেট। মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, জিওসি- ২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিরর ড্রপিং পয়েন্ট পলোগ্রাউন্ড বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, (টাইগারপাস হতে সকল গাড়ি উল্টো পথে এসে ড্রপ করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের গাড়ি ইউটার্ন করে কাঠের বাংলো দিয়ে সিআরবিতে চলে যাবে।
মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জিওসি- ২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি মহোদয়গণের গাড়ি সোজা সামনে গিয়ে রেলওয়ে পাবলিক স্কুল মাঠে প্রবেশ করবে।
পার্কিং : মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জিওসি- ২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজির কার পার্কিং রেলওয়ে পাবলিক স্কুল মাঠ। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কার পার্কিং সিআরবি সাত রাস্তা (এক সারিতে)। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের গাড়ি পার্কিং শহীদ শাহজাহান মাঠ ও শুভপুর বাস টার্মিনাল।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের কার পার্কিং পুরাতন রেল স্টেশন ও সিআরবি সাত রাস্তা। মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দের কার পার্কিং জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠ, পুরাতন রেল স্টেশন ও প্যারেড গ্রাউন্ড।
এছাড়া নেতৃবৃন্দের মাইক্রোবাস পার্কিং প্যারেড গ্রাউন্ড (চকবাজার)। বাস পার্কিং নতুন ব্রিজ হতে কালামিয়া বাজার এক্সেস রোড, শুভপুর টার্মিনাল, ফরেস্ট গেট (বন গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ), বহদ্দারহাট টার্মিনাল, শহীদ শাহজাহান মাঠ (আমবাগান রোড), আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও অলংকার আলিফ গলি। মিডিয়া কার পার্কিং জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠ।
ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদন করতে সকল প্রকার যানবাহনের চালক, যাত্রী সাধারণ ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সকলকে নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।