নগরী ও সীতাকুন্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা কলেজছাত্রীসহ নিহত ৩

16

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর সদরঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় এক কলেজছাত্রী ও সীতাকুন্ডে লরির ধাক্কায় ২ কিশোর নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার পৃথক এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নগরীর সদরঘাট থানার সামনে ট্রাকের ধাক্কায় ইসলামিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী নিহত হন। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করে। নিহতের নাম খাদিজা (১৮)। তার নিজবাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে।
খাদিজার সহপাঠী মো. ইসমাইল বলেন, কলেজে ক্লাস শেষে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে নেভাল-২ এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে খাদিজা নগরীর বাসায় চলে যাওয়ার সময় সদরঘাট থানার সামনে একটি ট্রাক পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি আমরা। কিন্তু তাকে বাঁচানো গেলো না।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, একজন কলেজ শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পূর্বদেশের সীতাকুন্ড প্রতিনিধি জানান, সীতাকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপকে অপর একটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে দুই কিশোর নিহত হয়। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার পৌরসভার উত্তর বাইপাস হাজেরা হ্যাভেন কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মেহেদি হাসান জনি (১৩) ও মো. মিরাজ হোসেন সিয়াম (১০)। মেহেদী হাসান জোরারগঞ্জ থানার দক্ষিণ ফেদাই নগরের মো. আলমগীরের পুত্র এবং সিয়াম বাগেরহাট জেলার চিলতমারী থানার বড়গুনি গ্রামের মো. মিন্টু মিয়ার পুত্র। মাছ বিক্রেতা মিন্টু মিয়াও এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিরসরাই থেকে পিকআপে করে সীতাকুন্ড পৌরসদর উত্তর বাজার আড়তে মাছ বিক্রি করতে আসেন মিন্টু মিয়া। মাছ বিক্রি শেষে ফেরার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাইপাস এলাকার পশ্চিম পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার পিকআপটিকে ধাক্কা দেয় ঢাকামুখি স্ক্র্যাপ বোঝাই একটি লরি। এতে মাছ বিক্রেতা মিন্টু মিয়া গুরুতর আহত হন। তার ছেলে এবং আরেক কিশোর ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।
সীতাকুন্ডের কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আমীর ফারুক বলেন, সকালে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপকে একটি লরি পেছন থেকে ধাক্কা দিলে পিকআপের পাশে দাঁড়ানো দুই কিশোর ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং অপর একজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ গাড়ি দুটি আটক করলেও লরি চালক পালিয়ে যাওয়া তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আহত মিন্টু মিয়াকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত দুই কিশোরের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।