নগরীর ৭১ খাল উদ্ধারে জরিপ করবে চসিক

6

আরএস খতিয়ান ও ১৯৬৮ সালের ফ্লাড ডিটেইল প্ল্যান অনুযায়ী মহানগরীর ৭১টি খাল উদ্ধার করবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এছাড়াও কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। গতকাল বুধবার সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমানের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন চসিক মেয়র। তিনি বলেন, নগরীতে বিলুপ্ত খালের প্রতিটি অংশ উদ্ধার করা হবে। খাল দখলকারী যত প্রভাবশালীই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সরকার বা সিটি কর্পোরেশন কখনও কাউকে খাল লিজ দেয়া বা বিক্রি করেনি। সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর জীবদ্দশায় কেউ নদী দখল করে মাছবাজার করার সাহস করেনি। কর্ণফুলী নদী দখল করার অধিকার কারও নাই।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান চসিক মেয়রকে অবহিত করে বলেন, আরএস সিট অনুযায়ী খাল উদ্ধার করতে হাই কোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ২০০৯ সালে এডভোকেট মনজিল মোর্শেদ দায়েরকৃত এক রিট পিটিশনে আদালত খাল উদ্ধারের বিষয়ে আদেশ দেন। যে আদেশের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর বিলুপ্ত ও দখল হওয়া খাল জরিপ এখন শেষ পর্যায়ে। চসিক মেয়র বলেন, আরএস সিট থেকে বিলুপ্ত এবং দখল হওয়া খালের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় জরিপ কাজ শুরু করা হবে। খাল চিহ্নিত হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খনন কাজ চলবে। এই বিষয়ে আলীউর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা শহর যেখানে নদী পাহাড় সাগর বিদ্যমান। ১৯৬৮ সালের বন্যা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর খাল উদ্ধার করে তা খনন করা হলে এই নগরীর জনগণ সম্পূর্ণ জলাবদ্ধতামুক্ত হবে। তিনি উচ্চ আদালতের আদেশ ও ১৯৬৮ সালের ফ্লাট ডিটেল প্লান অনুযায়ী খাল সমূহের তথ্য-উপাত্ত দ্রুত চসিক মেয়রের কাছে সরবারাহ করবেন বলে জানান।