নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ দ্রুত মেরামত জরুরি

29

দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম মহানগরীর খানাখন্দে ভরা ১২৭ কিলোমিটার সড়কের বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। চট্টগ্রাম মহানগরী বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার শিকার হয়। দীর্ঘ দিন থেকে নানা উপায়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা করা হলেও আজ পর্যন্ত অসম্ভব হয়নি। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি মেগা প্রকল্পও শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্াববধানে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ যতটুকু এগিয়েছে অন্য কোন সময় তাও সম্ভব হতে দেখা যায়নি। বরাবরের মতো চট্টগ্রাম মহানগরীতে এ বছরও বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির সাথে সাথে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। বৃষ্টির মধ্যে সড়কে পানি জমলে সড়ক নষ্ট হয়ে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া হালিশহর, আগ্রাবাদ, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জসহ মহানগরীর বহু এলাকায় জোয়ারের পানিও উঠেছে এবছর বর্ষায়। যার কারণে বহু সড়কের ক্ষতি হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরীর বহু সড়কের মধ্যে খানাখন্দ তৈরি হওয়ায় জনগণ এবং গণপরিবহনের যাত্রীসাধারণ নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মহানগরীর ১২৭ কিলোমিটার নষ্ট হয়ে যাওয়া সড়ক জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করার উদ্যোগ নিলেও বৃষ্টিজনিত কারণে তা দ্রুত করা সম্ভব হয়ে উঠছে না এমন মন্তব্য কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের। জরুরি ভিত্তিতে সড়ক মেরামতের জন্য চসিক সরকারকে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দানের জন্য মন্ত্রণালয়ে যে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে তা পাওয়া খুবই জরুরি। মন্ত্রণালয় হতে চট্টগ্রাম মহানগরীর নষ্ট সড়ক জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য চসিক বরাদ্দটি পাওয়ার দাবীদার। কোন কারণে মন্ত্রণালয় যথাযথ বরাদ্দ না দিলে চট্টগ্রামের খানাখন্দেভরা সড়ক মেরামতে সিটি কর্পোরেশনকে অনেক বেগ পেতে হবে। নিয়মিত মেয়র যেহেতু নেই, নতুন প্রশাসককে মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে, এমন আশা চট্টগ্রামবাসীর।
সিটি কর্পোরেশন যথাসম্ভব কাজ চালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। বরাদ্দটি দ্রুত পেলে নগরীর সড়কসমূহের মেরামত কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে। তবে আমরা মনে করি টিকাদার এবং সংশ্লিষ্টরা এ জরুরি মেরামত কাজে যেন নয়ছয় কর্মকাণ্ড না করে। সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে চট্টগ্রাম মহানগরীর ক্ষতিগ্রস্ত সড়কসমূহ মেরামত হোক এমন আশা নগরবাসীর