নগরীর কোনো খালে খোলা পায়খানা রাখা যাবে না

35

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরীর খালের মধ্যে কোন খোলা পায়খানা রাখা যাবেনা। বর্তমানে যারা নগরীর বিভিন্ন খালে খোলা পায়খানা স্থাপন করেছেন নিজ দায়িত্বে তা দ্রæত অপসারণের নির্দেশ দেন তিনি। না হলে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তা উচ্ছেদ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার সকালে চলমান মশক নিধন কার্যক্রমের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর মাস্টার পোল এলাকায় ক্র্যাশ প্রোগ্রামে চসিক প্রশাসক এসব কথা বলেন।
মাস্টার পোল এলাকার চাক্তাই খালে মশার ঔষধ ছিটানোকালে তিনি বলেন, আমি নগরবাসীর প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করবো আপনারা নালা-নর্দমা, খাল ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলবেন না। খালে খোলা পায়খানা স্থাপন করবেন না। এসব কার্যকলাপ পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। এশহর আমার-আপনার সবার। শহরকে পরিচ্ছন্ন আবর্জনা মুক্ত, পরিবেশবান্ধব মানবিক শহরে পরিণত করতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে আমি সেই চেষ্টা করছি। আশাকরি নগরবাসীও তাদের সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবেন।
এসময় তিনি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমের ক্র্যাশ প্রোগামের প্রথম ১০দিন নগরবাসীকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলতে নিজ বাড়ির আঙ্গিনা, আশ-পাশ, ডোবা পরিস্কার রাখতে সচেতন করে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে বলে জানান।
তিনি ডেঙ্গু থেকে রাক্ষা পেতে এডিশ মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এডিশ মশা স্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ডাবের খোসা, রেফ্রিজারেটরের ট্রেতে জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই এগুলোতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এসময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, স্থানীয় অধিবাসী ও সাংস্ককৃতি কর্মী শাহরিয়ার খালেদ, সাবেক ছাত্রনেতা শাহ নেওয়াজ খালেদ, কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি