নগরীর উন্নয়নে প্রযুক্তিগত সহায়তা চাইলেন মেয়র

13

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মান চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মিস কনস্টানজা জাহরিঙ্গার সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে আসন্ন বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান তিনি। এসময় মেয়র বলেন, জার্মান আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুপ্রতীম দেশ। যুদ্ধবিধ্বস্থ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থায় জার্মান আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল যা আমরা এখনো কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। বর্তমান জার্মান আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তিগত অনেক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখলে আমরা উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছতে পারব। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম সমুদ্র বন্দর এবং এই বন্দর নগরী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড। চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণ, বে-টার্মিনাল, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, কর্ণফুলীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ বাস্তবায়নের পথে। তাই চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বও বহুমাত্রিক। বিশ্বের সকল প্রান্তে চট্টগ্রাম অপার সম্ভাবনাময় উর্বর অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে সমাদৃত। মেয়র বলেন, দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে চট্টগ্রাম অন্যতম এবং শিক্ষা ও চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবদান রাখছে। এখানে চসিক পরিচালিত ৮০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫০টিরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও নাগরিক সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। মেয়র বলেন, জার্মানি প্রযুক্তিগতভাবে অনেক সমৃদ্ধ দেশ। তিনি নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এ্যামিউজমেন্ট পার্ক স্থাপন প্রক্রিয়ায় জার্মান সরকার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করতে পারে বলে মত ব্যক্ত করেন।
জার্মান চার্জ অব অ্যাফেয়ার্স কনস্টেঞ্জা জেরিঙ্গার চট্টগ্রাম নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, এ অঞ্চলের নান্দনিকতায় আমাকে বিমোহিত করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্বণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে আমরা জার্মানবাসীর পক্ষ থেকে আপনাদের অভিনন্দন জানাই, তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন, এ বন্দরটি হাজার বছরের প্রাচীন একটি বন্দর যা বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত। এ বন্দরকে ঘিরে সরকার যে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তা বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম হবে বিশ্ব অর্থনীতিতে অন্যতম হাব। তিনি সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে যে ব্যাপক কর্মসূচি পরিচালিত হয় তা শুনে অভিভুত হন এবং প্রযুক্তিখাতে সহায়তার জন্য তার সরকারকে অবগত করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জার্মান ফেডারেল রিপাবলিকের বাংলাদেশস্থ ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার ফারিস্তা মাহবুব, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি