নগরীতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক

27

ফুটো হওয়া লাইন মেরামত শেষে নগরীতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়েজ আহমেদ মজুমদার জানান, গত সোমবার রাত ১ টার দিকে মেরামত কাজ শেষ হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে মোটামুটি সব বাসাতেই গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক ছিল বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের খাল পাড় এলাকায় মাইট্টাল্লা খাল খননের সময় গত শুক্রবার রাতে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস সরবরাহ লাইনে প্রায় দুই ইঞ্চি পরিমাণ ফুটো হয়ে যায়। ফলে চট্টগ্রাম ইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র (৬০ মেগাওয়াট) ইউনাইটেড পাওয়ার, হালিশহর, পতেঙ্গা, বন্দর, আগ্রাবাদ পুরো এলাকা, সদরঘাট, ফিরিঙ্গী বাজার, আন্দরকিল্লা, হেম সেন লেইন, জামাল খান, চেরাগী পাহাড়সহ শহরের বিভিন্ন অংশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
গ্যাস না থাকায় এসব এলাকার বাসিন্দাদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
অনেকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কেরোসিনের চুলা বা গ্যাস সিলিন্ডার কিনে নিলেও একটি বড় অংশকে হোটেল রেস্তোরাঁর খাবারের ওপর নির্ভর করতে হয়।
কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রামে গৃহস্থালীর কাজে প্রতিদিন গড়ে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হয়।
এছাড়া শিল্প, সার কারখানা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রতিদিন বন্দরনগরীতে গ্যাসের চাহিদা গড়ে ৩৩০ মিলিয়ন ঘনফুট।