নগরীতে অভিযান ৮ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

15

ভোক্তার স্বার্থবিরোধী আচরণের কারণে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় নগরীর চান্দগাঁও, বাকলিয়া, বন্দর ও কোতয়ালী থানা এলাকায় তদারকিমূলক অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।
মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও ওষুধ সংরক্ষণ করা এবং অননুমোদিত রং খাদ্যে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিক্রয় করায় এসব জরিমানা করা হয়।
গতকাল সকাল ১০টা হতে পরিচালিত অভিযানে ৮ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৩৬ হাজার টাকা প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ পানীয়, অননুমোদিত রং ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে বহদ্দার হাট এলাকার মডার্ন হাসান বেকারিকে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিংস, মেয়াদ উত্তীর্ণ পানীয় সংরক্ষণ ও অস্বাস্থ্যকর উপায়ে বিস্কুট মোড়কজাত করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়। একই এলাকার ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসকে পণ্যের মোড়কে উৎপাদন, মেয়াদ ও খুচরা মূল্য না থাকায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
নগরীর বাকলিয়া থানার কে বি আমান আলী রোডের রিফাত ফার্মেসিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়। মেসার্স মামুন স্টোরকে অননুমোদিত রং বিক্রয় করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে এসব রং ধ্বংস করা হয়।
বন্দর থানার ফার্মভিলের পরিবেশক কে কে এস ফুডসকে পণ্যের মোড়কে যথাযথ তথ্য না দেয়ায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
কোতোয়ালি থানার জান্নাত সুপার মার্টকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। জামাল খান রোডের রাতুল স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় রাখায় ১ হাজার টাকা, এস. এস. খালেদ রোডের ওয়ার্ল্ড সেন্টারকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এসব অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় ভোক্তা সাধারণকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয় করতে, মাস্ক-গ্লাভস পরিধান করতে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি কোন বিক্রেতা যদি অধিক মূল্যে পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করে অথবা বিক্রয়ের প্রস্তাব করে তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ১৬১২১ এ অভিযোগ জানাতে বা তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়।