নওগাঁ সীমান্তের ওপারে ‘বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ’ লাশ

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

নওগাঁ সীমান্তের ভারতীয় অংশে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে আছে, যাকে নিজের ছেলে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশি এক নারী। নওগাঁর সাপাহার থানার ওসি তারেকুল ইসলাম জানান, হাঁপানিয়া এলাকায় সীমান্তের মেইন পিলারের পাশে ২৩৬/১ সাব-পিলারের ২০০ গজ ভেতরে ভারতীয় অংশে একটি মরদেহ দেখেছেন তারা। গতকাল শনিবার সকালে মরদেহে রক্ত ঝরতে দেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, লাশটি তারা চিহ্নিত করতে পারেননি। তবে স্থানীয়রা দাবি করেছেন লাশটি মকবুল ওরফে সালাউদ্দীন (২৬) নামে এক বাংলাদেশির। খবর বিডিনিউজের
সাপাহার উপজেলার কৃষ্ণসদা গ্রামের আলাউদ্দীন বুদুর স্ত্রী মজিদা বিবি সংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার ছেলে ট্রলিতে গমের বস্তা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাতে মকবুল বাড়ি ফিরবে না বলে জানায়। এরপর বাড়ির লোকজন দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে মকবুলের কয়েকজন বন্ধু ও স্থানীয়দের কাছে ছেলের লাশ সীমান্তের ওপারে পড়ে থাকার কথা শুনতে পাই। পরে তারা পোশাক দেখে শনাক্ত করেন বলে তিনি জানান।
কৃষ্ণসদা গ্রামের এক তরুণ বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে সালাউদ্দীন মকবুল ভারতে যান। ভোর ৪টার দিকে তারা ফিরে আসার সময় তাদের সঙ্গে মকবুলও ছিলেন। অন্যরা বাড়ি ফিরলেও মকবুল ফেরেননি। বিজিবি একটি লাশ পড়ে থাকার কথা জানালেও এখনও শনাক্ত করতে পারেনি।
হাঁপানিয়া বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল আজিজ বলেন, ভোর থেকে মরদেহটি ওখানে আছে। ভারতের পান্নাপুর বিএসএফ ক্যাম্পে পতাকা বৈঠকের জন্য বার্তা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিএসএফ এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি। বৈঠক না হওয়ায় মরদেহটি শনাক্ত করা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।