ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জোয়াদ

68

পূর্বদেশ অনলাইন
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিমে সরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এ ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে জোয়াদ। সৌদি আরব এসকাপে এ নাম প্রস্তাব করেছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্তমান গতিধারা অব্যাহত থাকলে এ ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হয়ে শনিবার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে।

বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর উত্তরপশ্চিমে এগিয়ে অন্ধ্র প্রেদেশ ও ওড়িশার মাঝামাঝি এলাকায় উপকূলের কাছে পৌঁছে উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে। এরপর উপকূল ধরে এগিয়ে শনিবার মধ্যরাত নাগাদ ওড়িশা রাজ্যের পুরি উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।

এরপর আরও উত্তর উত্তর-পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় জোয়াদ।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত কোন এলাকা দিয়ে এ ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করবে, তার ওপরই নির্ভর করবে বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব কতটা পড়বে।

সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানান, শুক্রবার বেলা ১২টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা-বরিশাল অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে আজ রাতে আর কাল।”