ধুতাঙ্গ সাধনার পুরোধা দীপংকর মহাথেরো

12

 

বান্দরবান আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারের অভিভাবক, ত্রি-চীবরধারী ও পাংশুকূল ধুতাঙ্গসাধক ড. এফ. দীপংকর মহাথেরো ধুতাঙ্গ ভান্তের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশি বৌদ্ধদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু উপসংঘরাজ ও বিচিত্র ধর্মকথিক ধর্মপ্রিয় মহাথেরো। ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়ার উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে ধর্মদেশনা করেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু মেত্তাবংশ মহাথেরো, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, কাস্টমস ও গোয়েন্দা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক অপ্সরা বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া।
অধ্যাপক অজয় বড়ুয়া ও শিক্ষক সুদর্শন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন-সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বান্দরবান আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারের প্রধান দায়ক প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেশান্ত বড়ুয়া, প্রধান সমন্বয়ক লায়ন নিপু কান্তি বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান দায়ক ব্যবসায়ী অনক বড়ুয়া, প্রিয়রঞ্জন বড়ুয়া, সাংবাদিক সূচরিতা বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বোধিসত্ত্ব বড়ুয়া, মনোরঞ্জন বড়ুয়া, সাংবাদিক সঞ্জয় বড়ুয়া, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, ইঞ্জিনিয়ার রুপক মুৎসুদ্দি, সাংবাদিক মিল্টন বড়ুয়া, এমিল তঞ্চঙ্গ্যা, প্রধান সেবিকা হ্যাপি চাকমা, বীরলাল তঞ্চঙ্গ্যা, আদর তঞ্চঙ্গ্যা নমিতা তঞ্চঙ্গ্যা, ভুটান বড়ুয়া প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে ড. এফ. দীপংকর মহাথেরো সব লোভ, মোহ ত্যাগ করে ধুতাঙ্গ সাধনায় মগ্ন হয়েছেন। বলা যায় তিনি ধুতাঙ্গ সাধনের পুরোধা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি গোল্ড মেডেল পেয়েও কোন মোহ তাকে জড়াতে পারেনি। দেশে ফিরে দুর্গম পাহাড়ে ধ্যান সাধনার মাধ্যমে মানবকল্যাণে বুদ্ধের সদ্ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিজ্ঞপ্তি