ধান কেটে নবান্ন উৎসব উদ্বোধনে সাংসদ

29

রাউজান প্রতিনিধি

দেশের প্রাচীনতম উৎসবগুলোর একটি নবান্ন উৎসব। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয়ে থাকে, নবান্ন তার অন্যতম। নবান্নের শব্দগত অর্থ ‘নতুন অন্ন’। নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবই নবান্ন।নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি জাতি-ধর্ম-বর্ণকে উপেক্ষা করে নবান্নকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠে। সামাজিক প্রথা, রীতি ও কৃত্যের পরিক্রমায় স্থানবিশেষে মাঘ মাসেও নবান্ন উদ্যাপনের প্রথা রয়েছে।
বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব উদ্যাপন করার জন্য মেয়ে-জামাইসহ আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ করে নতুন চালের পিঠা ও পায়েস রান্না করে ধুমধামের সঙ্গে ভ‚রিভোজের আয়োজন করা হয়। গ্রামের বধূরা অপেক্ষা করেন বাপের বাড়িতে নাইওরে গিয়ে নবান্ন যাপনের জন্য। পিঠা, পায়েস, মুড়ি-মুড়কি আর নতুন চালের ভাতের সুগন্ধে ভরে ওঠে মন।
রাউজানে নানা আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে ব্যারিস্টার সুরেশ বিদ্যায়তন সংলগ্ন মাঠে রাউজান পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।
রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেসানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবদুল ওহাব, সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, স্বপন দাশ গুপ্ত, দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসাইন, রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুণ, ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, পৌর কাউন্সিলর কাজী ইকবাল, জানে আলম জনি, শওকত হোসেন, এডভোকেট দিলীপ কুমার চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আলমগীর আলী, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নাছিমা আকতার, জান্নাতুল ফেরদৌস ডলি, জেবুন্নেসা। সহকারী উপ প্রকৌশলী সিকু কুমার বড়ুয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সঞ্জয় কুমার চন্দ, সঞ্জীব সুশীল, কাজী আতিকুর রহমান প্রমুখ। প্রধান অতিথি ধান কেটে নবান্ন উৎসব উদ্বোধন করেন।